এইমাত্র
  • নেত্রকোনায় হত্যা মামলার এক যুগ পর ৮ জনের যাবজ্জীবন
  • মোবাইল না থাকায় কষ্টে আছেন ব্যারিস্টার সুমন
  • ময়মনসিংহে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ নিহত ২
  • ইসরাইলি বিমান হামলায় আরও ৭২ ফিলিস্তিনি নিহত
  • টাঙ্গাইলে মওলানা ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
  • দুর্ঘটনার শিকার বলিউড অভিনেত্রী হিনা খান
  • বিরামপুরে পিকআপের ধাক্কায় বৃদ্ধ নিহত
  • ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলে ১৩৫টি ক্ষেপণাস্ত্র-ড্রোন হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ
  • ভালুকায় ঢাকনাবিহীন রেখেই নির্মাণ কাজ সমাপ্ত: ঝুঁকিতে ভালুকা পৌরবাসী
  • বর্তমানে দেশে মোট খেলাপি ঋণ ২ লাখ ৮৫ হাজার কোটি টাকা
  • আজ রবিবার, ৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৭ নভেম্বর, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নবান্ন উৎসব

    সাজাদুল ইসলাম, উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৯ পিএম
    সাজাদুল ইসলাম, উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৯ পিএম

    হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নবান্ন উৎসব

    সাজাদুল ইসলাম, উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৯ পিএম

    শিশির ভেজা প্রকৃতি জানান দেয় হেমন্ত পেরিয়ে আসছে শীত। মাঠে মাঠে সোনালী ধানের সমারোহ। বাতাসে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন। শুরু হয়েছে সোনালী ধান কাটা, আবার কেউবা ঘরে তুলছেন আগাম ধান। তবুও নেই, গ্রামীণ সংস্কৃতির নবান্ন উৎসবের আমেজ। গ্রাম-বাংলা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে বাঙালী জাতির হাজার বছরের পুরনো ঐতিহ্য নবান্ন উৎসব। অতীতে নবান্নে সোনালী ধান কাটার উৎসবে মুখরিত হতো গ্রামের প্রতিটি আঙিনা। কিন্তু গ্রামীণ জনজীবনে যেন এই চিত্র এখন শুধুই স্মৃতি।

    কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় একটি পৌরসভাসহ ১৩টি ইউনিয়নে সোনালী ফসল ঘরে তুলতে শুরু করেছেন আমন চাষীরা। প্রতিবছর হেমন্ত ঋতুতে নতুন বার্তা নিয়ে আসে আমন ধান। মাঠে মাঠে ছড়াচ্ছে নতুন ধানের গন্ধ। কৃষকের উৎপাদিত সোনালী ধানের সোনালী দিন চলছে। কিন্তু আমেজ নেই নবান্নের। একটা সময় এই উৎসবকে ঘিরে বাঙালির ঘরে ঘরে আত্মীয়তার বন্ধন তৈরি হতো। কিন্তু বর্তমানে গ্রাম-বাংলার শিশুরা বইপুস্তুক কিংবা গল্পেই শুনে থাকে নবান্নের কথা। একসময় অগ্রহায়ণ মাস এলেই পাকা ধানের মৌ মৌ গন্ধে গ্রাম-বাংলায় জানান দিত নবান্নের কথা। তবে এখন আর তেমন উৎসব চোখে পড়ে না গ্রামীণ জনপদে।

    নবান্ন উৎসবে সকলের ঘরে ঘরে নতুন আমন ধানের চালের বাহারি পিঠা, ফিরনি-পায়েস, ক্ষীরসহ নানা আয়োজন দেখা যেত এবং আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীকে বাড়িতে ডেকে বসিয়ে খাওয়ানো হতো।

    উলিপুর মহারাণী স্বর্ণময়ী স্কুল এন্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মৌমিতা আক্তার মীম বলেন, দাদা-দাদীর কাছে নবান্ন উৎসবের কথা শুনেছি। আগে অনেক ভালো হতো। নবান্নর দিনে একে অপরের বাসায় খেতে যেত কিন্তু বর্তমানে আমাদের গ্রামে সেটা আর দেখি না। নিজেরাই নিজের মতো এখন নবান্ন উৎসব পালন করে।

    অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুর রহমান (৮৫) বলেন, হেমন্তের ধান কাটা শুরু হলেই আমার মনে ভেসে ওঠে নবান্ন উৎসবের আমেজ। কিন্তু বর্তমানে সেটা আর গ্রাম বাংলায় দেখা যায়। না। আমরা ছোট বেলায় দল বেধে একে অপরের বাসায় খেতাম এবং নবান্ন উৎসবকে নতুনভাবেই বরণ করে নিতাম। কিন্তু এখনকার ছেলে মেয়েরা শুধু নামেই জানে নবান্ন উৎসব। আগের মত তারা আর নবান্ন উৎসব করতে পারে না।

    অনেক কৃষক বলছেন, অভাবে স্বভাব নষ্ট, কুল নষ্ট ভজনে। আগে জিনিসপত্রের দাম কম ছিল নবান্ন উৎসব করা সম্ভব হতো। এখন সবকিছু দাম বেড়ে যাওয়ায় আর করা সম্ভব হয় না। এ কারণে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী নবান্ন উৎসব হারিয়ে যেতে বসেছে।

    এআই

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…