টাঙ্গাইলের সন্তোষে ‘যুগ যুগ জিও তুমি-মওলানা ভাসানী’ মুহুর্মুহু স্লোগানে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী হুজুরের ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে রবিবার (১৭ নভেম্বর) মওলানা ভাসানীর মাজার প্রাঙ্গণে হাজারো জনতার ঢল নামে। সকাল সাড়ে ৭টায় মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) প্রফেসর ডক্টর মো. আনোয়ারুল আজীম আখন্দের নেতৃত্বে মওলানা ভাসানীর মাজারে পুস্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, প্রোভোস্ট, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, অফিস প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যসোসিয়েশন, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী সমিতি, ভাসানী পরিষদ ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসস্থ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষথেকেও পৃথক পৃথকভাবে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
মাজার প্রাঙ্গণে ভক্ত, অনুসারী ও মুরিদরা ‘যুগ যুগ জিও তুমি, মওলানা ভাসানী’ স্লোগানে ক্ষণে ক্ষণে প্রকম্পিত আওয়াজ তুলছেন। এছাড়া কৃষক শ্রমিক জনতালীগ, বিএনপি, গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুস্পার্ঘ অর্পণ, শোকর্যালি, আলোচনা সভা, সেমিনার, তবারক বিতরণ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মাজার প্রাঙ্গণে সপ্তাহব্যাপী মেলার আয়োজনও করা হয়েছে। মেলায় মওলানা ভাসানীর ভক্ত-অনুরক্ত, অনুসারী ও মুরিদানরাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নিচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় ও ভাসানীর পরিবারের পক্ষ থেকে আগত অভ্যাগতদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়া বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
প্রকাশ, মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাকনাম ছিল চেগা মিয়া। তবে তিনি লাল মওলানা হিসেবেও সমধিক পরিচিত। সিরাজগঞ্জে জন্ম হলেও তার জীবনের সিংহভাগই টাঙ্গাইলের সন্তোষে কাটিয়েছেন। আফ্রো-এশিয়া ও লাতিন আমেরিকার ভুখা-নাঙ্গা গণমানুষের নেতা আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ১৯৭৬ সালের এই দিনে ঢাকার তৎকালীন পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। পরে টাঙ্গাইলের সন্তোষে তাকে সমাহিত করা হয়।
এআই