এইমাত্র
  • ‘জুলাই গণহত্যাসহ ১৫ বছরের সব অপকর্মের বিচার হবে’
  • মৃত্যুর এক মাস পর খোলা হচ্ছে মনি কিশোরের ফ্ল্যাটের তালা, যা জানা গেল
  • পরীমণিকে উদ্দেশ্য করে 'ভুয়া ভুয়া' স্লোগান, নায়িকার স্টেজ ত্যাগ
  • শেখ হাসিনার সঙ্গে কথোপকথন, সেই যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
  • চলতি সপ্তাহের ওটিটির সিরিজ-সিনেমার খোঁজ
  • ‘ফারুকীকে আওয়ামী দোসর বলা হাস্যকর’
  • ১৬ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৫ হাজার কোটি টাকা
  • হুট করেই বুটজোড়া তুলে রাখার ঘোষণা দিতে চান পর্তুগিজ মহাতারকা রোনালদো
  • নওগাঁ আদালতে ৬৭ জন আইন কর্মকর্তার নিয়োগ
  • সুনামগঞ্জে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক
  • আজ রবিবার, ৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৭ নভেম্বর, ২০২৪
    আইন-আদালত

    মোবাইল না থাকায় কষ্টে আছেন ব্যারিস্টার সুমন

    সময়ের কণ্ঠস্বর রিপোর্ট প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২৫ পিএম
    সময়ের কণ্ঠস্বর রিপোর্ট প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২৫ পিএম

    মোবাইল না থাকায় কষ্টে আছেন ব্যারিস্টার সুমন

    সময়ের কণ্ঠস্বর রিপোর্ট প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২৫ পিএম

    কারাবন্দি সাবেক সংসদ সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন পুরোপুরি বদলে গেছেন। তিনি কারাগারে নিয়মিত নামাজ আদায় শুরু করেছেন।

    রোববার (১৭ নভেম্বর) ব্যারিস্টার সুমনের দীর্ঘদিনের সহকর্মী ও চেম্বার পার্টনার আইনজীবী এম লিটন আহমেদ এসব তথ্য জানিয়েছেন। গত ১৫ নভেম্বর কারাগারে গিয়ে ব্যারিস্টার সুমনের সঙ্গে দেখা করে এসেছেন এ আইনজীবী।

    আইনজীবী লিটন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ব্যারিস্টার সুমনের জেল জীবনের সঙ্গী হিসেবে আছেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখ্যসচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান। এদের দুজনের সঙ্গে একই রুম শেয়ার করতে হয় ব্যারিস্টার সুমনকে।

    তিনি বলেন, ব্যারিস্টার সুমন কারাগারে ঘুম থেকে ওঠেন ফজরের আজানের আগে। তিনি এখন নিয়মিত ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। সাবেক এমপি হিসেবে জেলে ডিভিশন পেয়েছেন। তবে ব্যারিস্টার সুমন কষ্টে আছেন তার সঙ্গে মোবাইল ফোন না থাকায়। কারণ, আগে সার্বক্ষণিক মোবাইলে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে যেতেন, যা এখন একেবারেই বন্ধ।

    ব্যারিস্টার সুমন তার চেম্বার পার্টনারকে আরও বলেন, জেলজীবন কষ্টের, কারণ ঠিক সন্ধ্যা নামার সময় কারা সেলে ঢুকে পড়তে হয়, খাবার খেয়ে নিতে হয়। এটা স্বাভাবিক জীবনে মানা কষ্টের।

    সারাদিন কী করেন ব্যারিস্টার সুমন— এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, হাঁটাহাঁটি করেন। কখনো সকালে, কখনো বিকেলে। তবে সেখানেও তাকে দেখলে অন্য কয়েদিরা ‘সুমন ভাই’, ‘সুমন ভাই’ ডাক শুরু করেন। এতে কখনো-কখনো বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। এ কারণে সেলের বাইরে হাঁটতে কিছুটা বেগ পেতে হয় তাকে।

    বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন রাজধানীর মিরপুরে যুবদল নেতা ও বাঙালিয়ানা ভোজের সহকারী বাবুর্চি হৃদয় মিয়াকে হত্যাচেষ্টা মামলায় গত ২১ অক্টোবর মধ্যরাতে মিরপুর-৬ এলাকা থেকে ব্যারিস্টার সুমনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

    এ মামলায় ৫ দিনের রিমান্ড শেষে গত ২৭ অক্টোবর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ১৯ জুলাই বাবুর্চি হৃদয় জুমার নামাজ আদায় করে মিরপুর-১০ নম্বরে সমাবেশে যান। সেখানে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। তারা ককটেল ও বোমা নিক্ষেপ করে এবং গুলি চালায়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন হৃদয়।

    আহত হৃদয় হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ১০ নম্বর হাতিয়াইন ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি। এ ঘটনায় তিনি ২৩ সেপ্টেম্বর মিরপুর মডেল থানায় মামলা করেন। মামলার ৩ নম্বর আসামি ব্যারিস্টার সুমন।

    এসএফ

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…