বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অপসারণকে কেন্দ্র করে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত ১০ জনকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ও দু'জনকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রবিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার গনিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে সংঘর্ষের এ ঘটনাটি ঘটে।
এদিকে নানা অনিয়মের অভিযোগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে প্রধান শিক্ষক তদবির আলমের বিরুদ্ধে তদন্তও চলছে বলে জানাগেছে।
পুলিশ স্থানীয় এলাকাবাসী কাছ থেকে জানা গেছে, গত মাস খানেক ধরে ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকের অপসারণ নিয়ে আন্দোলন করে আসছি। প্রধান শিক্ষকের অপসারণ নিয়ে শিক্ষক, এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যেও গ্রুপের সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে শিক্ষার্থীরা একাধিক বার উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে। এ নিয়ে শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে কয়েকদিন ক্লাসও বর্জন করে।
এরই জের ধরে দুপুরে প্রধান শিক্ষকের পক্ষে-বিপক্ষে থাকা দুই গ্রুপের লোকজন জড়ো হয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক আহত হয়। এর মধ্যে ৩১জন সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে গেছে। গুরুত্ব আহত ১০ জন ও ২ জনকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডা. শফিকুল ইসলাম এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম আলী জানিয়েছেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এ ঘটনায় এখনও কাউকে আটক করা হয়নি।