কক্সবাজারের টেকনাফে গহীন অরণ্যে লুকিয়ে থাকা প্রায় এক ডজন মামলার পলাতক আসামি অপহরণ চক্রের মুলহোতা অস্ত্রধারী শীর্ষ ডাকাত বদরুজকে আটক করেছে পুলিশ। উক্ত অভিযানে লম্বা বন্দুক, কাটা রাইফেল-গুলি ও দেশীয় তৈরি অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করতেও সক্ষম হয়েছে।
রবিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরের দিকে টেকনাফ থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্যের সত্যতা গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে নিশ্চিত করেছেন, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।
তিনি বলেন ধৃত ডাকাত মো.বদরুদ্দৌজা ওরফে বদরুজ টেকনাফ উপজেলার অন্তর্গত বাহারছড়া ইউনিয়নের উত্তর শিলখালী এলাকার বাসিন্দা।
তার বিরুদ্ধে ডাকাতি, অপহরণ, চাঁদাবাজি ও মানুষ হত্যাসহ নানান অভিযোগে অভিযুক্ত টেকনাফ থানায় দায়ের করা প্রায় হাফ ডজন মামলা রয়েছে।
অবশেষে শনিবার (১৬ নভেম্বর) মধ্যরাতে বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত পুলিশ সদস্যরা জানতে পারে উক্ত ইউনিয়নের উত্তর শিলখালী এলাকার ঝাউবাগান এলাকায় একাধিক মামলার পলাতক আসামি অপহরণ চক্রের মূলহোতা মো.বদরুদ্দৌজা প্রকাশ বদরুজ ডাকাত অপরাধ সংঘটিত করার উদ্দেশ্যে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অবস্থান করছে।
উক্ত অভিযানের তথ্য অনুযায়ী, এসআই দস্তগীরের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে অভিযানে যায়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তিন-চারজন সন্দেহভাজন লোক দৌঁড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় অভিযানিক দল ডাকাত দলের সদস্যদের ধাওয়া করে শীর্ষ ডাকাত বদরুজকে আটক করতে সক্ষম হয়। তবে এসময় তার সহযোগীরা কৌশলে পালিয়ে যায়।
এরপর ডাকাত বদরুদ্দৌজার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বাহারছড়া ইউনিয়নের উত্তর শিলখালী এলাকায় জনৈক জলিলের বাড়ির সামনে থাকা লাকড়ির স্তুপের মধ্যে লুকিয়ে রাখা দেশীয় তৈরি ৩টি বন্দুক,৩ রাউন্ড গুলি, ২টি কিরিচ, ১টি রামদা ও ১টি চাইনিজ কুড়ালও উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
উল্লেখ্য:-ধৃত ডাকাত বদরুজের অপহরণকারী চক্রের একটি গ্রুপ রয়েছে। সে উক্ত গ্রুপের দলনেতা।
সে দীর্ঘ দিন ধরে টেকনাফের পাহাড় কেন্দ্রিক অপহরণসহ নানা অপরাধ সংঘটিত করে আসছে। সম্প্রতি কিছুদিন আগে বাহারছড়া বাজারে গ্রামীণ চিকিৎসক জহির এবং হোয়াইক্যংয়ে ১১ জন কৃষককে অপহরণ করার ঘটনায় সরাসরি জড়িত ছিল বলেও পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন।
তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণ করার জন্য কক্সবাজার বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
এআই