বিএনপির সাবেক মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ও নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম বলেছেন, সোনারগাঁয়ে বিশৃংখলাকারী, চাঁদাবাজ, দখলবাজ ও জুলুমবাজদের প্রতিহত করা হবে। দলের কেউ এসব অপকর্মে জড়িত থাকলে কাউকেই ছাড় দেয়া হবেনা। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সোনারগাঁয়ে বিএনপির নামধারী কিছু নেতা আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন।
বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি ও মিথ্যা মামলা দিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানী করে মোটা অংকের টাকা কামিয়েছেন। গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। তাদের কারণে দল ক্ষতিগ্রস্থ হবে। আগামী সংসদ নির্বাচনে এসব নেতারা কোন মুখে ভূক্তভোগী পরিবারের কাছে ভোট চাইতে যাবেন। দলের নাম ভাঙিয়ে যারা এসব কর্মকান্ডে করছে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে সোনারগাঁয়ে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম মুকুলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির সাবেক মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ও নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি খন্দকার আবু জাফর, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সভাপতি ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল, কেন্দ্রীয় তাঁতী দলের কেন্দ্রীয় নেতা মুজিবুর রহমান, কাঁচপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বজলুর রহমান, বিএনপি নেতা গাজী সামসুর রহমান মন্টু, আবুল কাশেম বাবু, আশরাফ মোল্লা, খোরশেদ আলম, হারুন অর রশিদ মিঠু, পৌর বিএনপি নেতা ফারুক আহমেদ তপন, নুরে ইয়াসিন নোবেল, যুবদল নেতা সালাউদ্দিন সালু, কাজী এনামুল হক রবিন , আতাউর রহমান, এমদাদুল হক দিপু ,প্রমুখ। এসময় সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জনসভা উপলক্ষে সোমবার দুপুর থেকে মোগড়াপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা জড়ো হয়। জনসভা মঞ্চ এলাকায় লোকে লোকারন্য হয়ে যায়। নেতাকর্মীরা জানান, আজকের জনসভা দেখিয়ে দিয়েছে সোনারগাঁয়ে মাটি রেজাউল করিমের ঘাটি। অবশেষে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম মুকুলের নেতৃত্বে অধ্যাপক মো. রেজাউল করিমের জনসভার সফলতা ফিরে পেয়েছে ৷
এমআর