কারও কাছে বিদ্রোহী, কারও কাছে পরিচিত ফুটবলের ঈশ্বর। তবে তাকে যেভাবে ডাকা হোক না কেন, তার পরিচয় একটি নামেই, আর সেটি দিয়াগো ম্যারাডোনা। আজ তাকে হারানোর চার বছর। ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৬০ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছিলেন ফুটবলের অবিসংবাধিত নায়ক দিয়েগো আরমান্দো ম্যারাডোনা। গোটা বিশ্বকে চোখের পানিতে ভাসিয়ে সম্পন্ন হয় তার শেষযাত্রা।
সময়ের পরিক্রমায় এই আর্জেন্টাইন তারকা ফুটবলারের আজ চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী। বিশ্বজুড়ে ফুটবল প্রেমীরা আজও তাকে মনে রেখেছে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে।
১৯৮৪ থেকে ১৯৯১ সাল, ম্যারাডোনা দীর্ঘ ৭ বছর ফুটবলের আলো ছড়িয়েছেন ইতালির দল নাপোলিতে। ফলে ক্লাব নাপোলির পাশাপাশি ইতালিতেও তিনি ছিলেন ঘরের ছেলের মতো। তাইতো নাপোলির ১০ নম্বর জার্সির মালিক কেবলই ম্যারাডোনা। তার প্রতি সম্মান রেখে এই জার্সি আর কাউকে দেবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইতালির এই ক্লাবটি।
এমনকি তার মৃত্যুর পর নাপোলির ‘সাম পাওলো’ স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় 'দিয়েগো আরমানদো ম্যারাডোনা' স্টেডিয়াম। ফুটবলের ঈশ্বর ম্যারাডোনার দক্ষতায় নিজ দেশ আর্জেন্টিনাকে তিনি এনে দেন বিশ্বকাপ ট্রফি। ১৯৮৬ সালে নিজ দেশকে তিনি জেতান বিশ্বকাপের মতো সবচেয়ে বড় মুকুট।
ম্যারাডোনাকে হারানোর পর থেকে পৃথিবীতে বদল হয়েছে অনেককিছুই। আর্জেন্টিনা তিন যুগ পর বুঝে পেয়েছে বিশ্বকাপের শিরোপা। মেসি জিতেছেন ৮ম ব্যালন ডি অর। ম্যারাডোনা পৃথিবীর মায়া ছাড়লেও ফুটবল মাঠে করা তার অনবদ্য কীর্তিগুলো তাকে আজন্ম বাঁচিয়ে রাখবে ফুটবল প্রেমিদের হৃদয়ে।
এবি