মাদারীপুরে মারধর করে সুমি আক্তার (২৭) নামে এক গৃহবধুকে ঘরে আটক রাখার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।
রবিবার (২৪ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে সদর উপজেলার হাজরাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সোমবার সকালে নির্যাতিতাকে ভর্তি করে জেলা সদর হাসপাতালে। অভিযুক্ত রুবেল আকন (৩২) হাজরাপুরের আক্কাস আকনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ৮ বছর আগে প্রেমের সম্পর্কের জেরে সদর উপজেলার নয়াচর গ্রামের রুজু মাতুব্বরের মেয়ে সুমি আক্তারের সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় হাজরাপুরের আক্কাস আকনের ছেলে রুবেল আকনের। বিয়ের পর সুমিকে শ্বশুরবাড়ি রেখে রুবেল ইতালী চলে যায়। পরে খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে দেবর রবিউল আকনসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন সুমিকে প্রায়ই মারধর করে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী।
রবিবার সন্ধ্যায় সুমিকে মারধর করে ঘরে বন্দি করে রাখা হয়। পরে খবর পেয়ে বাবার লোকজন গিয়ে সুমিকে উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে পুলিশকে খবর দেয়। চরমুগরিয়া পুলিশ ফঁাড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) সুবির সুত্রধর ও সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে গিয়ে সুমিকে উদ্ধারকে করে। পরে সোমবার সকালে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় নির্যাতিতাকে। এই ঘটনায় জড়িতদের বিচার চেয়েছেন নির্যাতিতা ও তার পরিবার। এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করেছে অভিযুক্তরা।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন জানান, গৃহবধুকে মারধরের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে তদন্ত করে নেয়া হবে আইনগত ব্যবস্থা।
এআই