বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজের সর্বশেষ চারটিতেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জিতেছে ভারত। এর মধ্যে দুটিই ছিল অজিদের মাটিতে।
টেস্টের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা এবারের মতো এমন বিপর্যয় গত ১৩৬ বছরের ইতিহাসে দেখায়নি।পার্থ টেস্টের দুই ইনিংসেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে প্যাট কামিন্সের দলটি। ব্যাটিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডারদের এমন ব্যর্থতা দেখা গিয়েছিল সর্বশেষ ১৮৮৮ সালে।
যদিও এবারের সিরিজের প্রথম ম্যাচেই স্বপ্নের মতো কামব্যাক করে ভারত। পার্থ টেস্টে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়াকে ২৯৫ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে মেন ইন ব্লু’রা। অপটাস স্টেডিয়ামে দু’দলই প্রথম ইনিংসে অল্প রানে গুটিয়ে যায়। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত বড় সংগ্রহ তুললেও ফের ব্যর্থ স্বাগতিকরা।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে রান খরায় শেষ হয় ভারতের প্রথম ইনিংস। তখন অনেকেই ভেবেছিলেন ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক। মাত্র ১৫০ রানে অলআউট হয় সফরকারীরা। তবে জাসপ্রিত বুমরাহর ফাইফারের সাথে হার্ষিথ রানা ও সিরাজের বোলিং তোপে নিজেদের স্বল্প পুঁজির রানেও ৪৬ রানের লিড পায় ভারত।
দ্বিতীয় ইনিংসে জওসওয়াল-কোহলির জোড়া সেঞ্চুরিতে ভর করে রানের পাহাড় গড়ে বুমরাহ বাহিনী। ১৬১ রানে বিদায় নেন জওসওয়াল। ৭৭ রান আসে আরেক ওপেনার কে এল রাহুলের ব্যাটে। ভিরাট কোহলি তিন অঙ্কে পৌঁছালে ৪৮৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। জয়ের জন্য স্বাগতিকদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৫৩৪ রান।
বিশাল রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই খেই হারায় অজিরা। বুমরাহ-সিরাজের জোড়া আঘাতে দলীয় ১৭ রানে টপ অর্ডারের ৪ ব্যাটারকে হারিয়ে রীতিমতো চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৯ রান করেন ট্র্যাভিস হেড। এছাড়া মিচেল মার্শ ও অ্যালেক্স ক্যারির ব্যাটে আসে যথাক্রমে ৪৭ ও ৩৬ রান।
ভারতের পক্ষে ৩টি করে উইকেট তুলে নেন জাসপ্রিত বুমরাহ ও মোহাম্মদ সিরাজ। এছাড়া ২টি উইকেট পান ওয়াশিংটন সুন্দর।
উল্লেখ্য, এ জয়ে সিরিজে ১-০তে লিড নিলো ভারত। আগামী ৬ ডিসেম্বর অ্যাডিলেইড ওভালে শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট। এটি হবে দিবা-রাত্রির ম্যাচ।