রাজধানীর ধানমন্ডিতে একটি ঔষধের দোকান থেকে চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা কলেজের সহ-সমন্বয়ক তাসনীমুল হাসান সাঈদী ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। ছাত্রদল নেতা মিল্লাদের অনুসারী সাকিবও ঘটনার নেতৃত্ব দেন।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় ঢাকা কলেজের ২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের নর্থ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও সহ-সমন্বয়ক তাসনীমুল হাসান সাঈদী, ২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের দক্ষিণায়ন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা মিল্লাদের অনুসারী সাকিব, ২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের নর্থ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সোহেল, ২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের দক্ষিণায়ন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মনিরুল, ২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের নর্থ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মুরসালিন, ২১-২২ শিক্ষাবর্ষের নর্থ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সজিব, ২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জীবন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
ফ্যমিলি ড্রাগ কর্ণার ২ এর মালিক ভুক্তভোগী বলেন, আমার দোকানের এক কর্মচারী আমার বিরুদ্ধে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের মিথ্যা অভিযোগ আনলে আমি রাগান্বিত হয়ে তাকে থাপ্পড় দেই। চাঁদা আদায়ের লক্ষ্যে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের নাটক সাজান সাঈদী ও তার সহযোগীরা এবং এক লক্ষ টাকা দাবি করেন। পরে এক লক্ষ টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় ৫০ হাজার টাকা চান। তাতেও রাজি না হলে দোকান লুটপাট করার হুমকি এবং ৩০ হাজার টাকা চান। পরে ১৫ হাজার টাকা চাঁদা নিয়ে আসেন সাঈদী ও তার সহযোগীরা।
অভিযুক্তদের মধ্যে একজন বলেন, সাঈদী আমাদেরকে ডেকে নিয়ে যায় ক্যাম্পাসের একজনকে মারছে একথা বলে। সেখানে যাওয়ার পর আমরা জানতে পারি আমাদের ক্যাম্পাসের এক পরিচিত বড় ভাইয়ের সাথে মালিকের বাকবিতন্ডায় তিনি আঘাত প্রাপ্ত হন। তখন আমরা তার চিকিৎসা বাবদ অর্থ দাবি করি। এক্ষেত্রে তিনি ১৫ হাজার টাকা প্রদান করেন। তারপর সকলে মিলে টাকা ভাগাভাগি করে নেওয়া হয়।
ছাত্রদল নেতা মিল্লাত বলেন, আমি এসবের কিছু জানি না।সাকিব জড়িত থাকলে সাকিবের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভবিষ্যতে সে যদি আমার সাথে রাজনীতি করতে চায় তাহলে দোকানদারকে টাকা ফেরত দিতে হবে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ঢাকা কলেজের সমন্বয়ক রাকিব সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, যদি অভিযোগ থাকে যে চাঁদাবাজি করেছে তাহলে অবশ্যই সে আমাদের সমন্বয়ক হোক বা শিক্ষার্থী হোক এর পক্ষে আমরা নই। এই বিষয়ে ঢাকা কলেজ প্রশাসনও জানে, তারা এই বিষয়ে সমাধান করবে। ঘটনা সত্য হলে আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিব।
চাঁদাবাজির বিষয়ে অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস বলেন, এই বিষয়ে থানায় জিডি হয়েছে। আইনি বিষয় দেখে কলেজ প্রশাসন ব্যবস্থা নিবে।
এমআর