ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) সোহাগী জাহান তনুর গ্রাফিতির ওপরে পোস্টার লাগিয়ে তুমুল সমালোচনার মুখে ক্ষমা চাইলেন অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। আজ বুধবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ ক্ষমা চান তিনি।
ফেসবুক পোস্টে মেহজাবীন চৌধুরী লেখেন, ‘‘‘প্রিয় মালতী’’ চলচ্চিত্রের প্রচারণার জন্য একটি টিম আজ (১৮ ডিসেম্বর) টিএসসিতে গিয়েছিলাম। অনেক দর্শক আমাদের সঙ্গে যোগ দেন চলচ্চিত্রের প্রচারণায়, প্রচণ্ড ভিড় ও অনিবার্যকারণবশত পোস্টারিংয়ের ক্যাম্পেইনটি দ্রুত শেষ করতে হয়। ভুলবশত ও অনাকাঙ্ক্ষিত অব্যস্থাপনায় একটি পোস্টার মরহুমা সোহাগী জাহান তনুর গ্রাফিতির ওপরে লাগানো হয়ে যায়।আমরা সবাই জানি তনুর মর্মান্তিক ঘটনা এবং তার হত্যার ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই এখনো চলমান।
তিনি লেখেন, ‘পোস্টারিং সংক্রান্ত যা হয়েছে সেটা সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত ভুল ছিল। আমরা তৎক্ষণাৎ সেই পোস্টারগুলো সরিয়ে ফেলেছি এবং দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেছি।’
এ অভিনেত্রী লেখেন, ‘আমাদের চলচ্চিত্র, আমরা এবং আমাদের সংগ্রামের মূল লক্ষ্যই ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই। এটি আমাদের হৃদয় থেকে আসে। আমরা আশা করি, আমাদের অনিচ্ছাকৃত অব্যবস্থপনাটুকু ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। ধন্যবাদ আপনাদের সকল সহযোগিতার জন্য।
এদিকে, সমালোচনার মুখে পড়ে মেহজাবীন নিজেই টিএসসিতে গিয়ে তনুর গ্রাফিতির ওপরে লাগানো পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেছেন। আজ সন্ধ্যায় টিএসসিতে গিয়ে তনুর গ্রাফিতির ওপর সাঁটানো ‘প্রিয় মালতী’ সিনেমার পোস্টার তুলে ফেলেন তিনি।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক রিফাত রশীদ এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে মেহজাবীনকে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইতে বলেন।
রিফাত রশীদ লেখেন, ‘আমার শহীদ বোন তনুকে চেনেন না মেহজাবীন? কার গ্রাফিতির ওপর নিজের খোমাওয়ালা পোস্টার লাগাইছেন? চিনবেন কেমনে? আপনাগো সো কল্ড কাল-চারাল পাড়ায় আমার বোনেরে নিয়ে কথা হয় কি?’
তিনি আরও লেখেন, ‘টিএসসিতে আমরা এই পোস্টার ছিঁড়ব না মেহজাবীন চৌধুরী। আপনি নিজে এসে এই পোস্টার ছিঁড়বেন।’
এফএস