যাদের আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে তাদের উচ্চ পদগুলোতে রাখা হয়েছে এমন অভিযোগ তুলে কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোর জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ফরিদ হাসান। তিনি যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ফিজিওথেরাপি এন্ড রিহেবিলিটেশন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর ) তিনি এ পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
গত ২৬ নভেম্বর সংগঠনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সদস্যসচিব আরিফ সোহেলের সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে আগামী ছয় মাসের জন্য যশোর জেলা শাখার কমিটি প্রকাশ করা হয়। এতে রাশেদ খানকে আহ্বায়ক ও জেসিনা মুর্শিদ প্রাপ্তিকে সদস্যসচিব করে ১১২ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়। কমিটি ঘোষণার পরদিন নানা অভিযোগ তুলে পদত্যাগ করেন সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুম বিল্লাহ।
লিখিত পদত্যাগপত্রে ফরিদ উল্লেখ করেন, আমার মনে হচ্ছে কেন্দ্রীয় নেতারা সঠিক পথে নেই। তারা জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারছে না। তারা ব্যক্তিকেন্দ্রিক হয়ে উঠেছে। এছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোর জেলার কমিটিতে যাদের আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে তাদের উচ্চ পদগুলোতে রাখা হয়েছে এবং তারা কখনো ছাত্র-জনতার আন্দোলনের আকাঙ্ক্ষা মনে পোষণ করে না। সেই সাথে কেন্দ্রীয় একজন সমন্বয়ক একজন নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তির সাথে খারাপ আচরণ করায় জনগণের কাতারে দাড়িয়ে আমি শাস্তি দাবি করছি। আমি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে কোন দল করতে চাই না। তাই আমি স্বেচ্ছায় সজ্ঞানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোর জেলা শাখার কমিটি থেকে পদত্যাগ করছি। ভবিষ্যতে যদি কখনো দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে রাজপথে দাঁড়ানো লাগে আমি আবারও রাজপথে থাকবো ইনশাআল্লাহ।
এ ব্যাপারে যশোর জেলা কমিটির আহ্বায়ক রাশেদ খানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য গত ৩০ নভেম্বর যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সজীব হোসেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোর জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক পথ থেকে পদত্যাগ করেন।
এইচএ