বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) শঙ্কা প্রকাশ করেছে। দীর্ঘদিনেও নিয়ন্ত্রণে আসছে না মূল্যস্ফীতি, যা তাদের ধারণার চেয়েও বেশি। চলমান উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং অর্থনৈতিক নীতিতে দুর্বলতাকে কেন্দ্র করে আজ (১৯ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন আইএমএফের ডেভেলপমেন্ট ম্যাক্রোইকোনমিকস বিভাগের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও।
ক্রিস পাপাজর্জিও বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি সংকটমুক্ত করতে সংস্কার উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে হবে এবং অভ্যন্তরীণ আয় বৃদ্ধির ওপর জোর দিতে হবে। আইএমএফ কর্মসূচিতে থাকা অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে পিছিয়ে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি যে ২২ হাজার কোটি টাকা মুদ্রণ করেছে তা আর্থিক সংকট নিরসনে দীর্ঘমেয়াদী সমাধান নয়। এ ধরনের উদ্যোগ মূল্যস্ফীতিকে আরও উসকে দিতে পারে।
জিডিপি ও মূল্যস্ফীতি নিয়ে পূর্বাভাস
আইএমএফের পূর্বাভাস অনুযায়ী:
২০২৪ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে মাত্র ৩.৮ শতাংশ।
২০২৫ সালে মূল্যস্ফীতি পৌঁছাবে ১১ শতাংশে।
আইএমএফ জানায়, বাংলাদেশের জন্য ঋণের চতুর্থ কিস্তি (১৩০ কোটি ডলার) ছাড়ের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি। তবে, বাংলাদেশ ব্যাংক নীট রিজার্ভের পরিমাণ বৃদ্ধি করে আইএমএফের শর্ত পূরণ করেছে, যা বর্তমানে ১৫.৫৮ বিলিয়ন ডলার।
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ আশাবাদী যে অর্থনীতি ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।
এসএফ