"আল্লাহর আইন চাই, সৎ লোকের শাসন চাই " এই শ্লোগানকে সামনে রেখে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বর্ণাঢ্য আয়োজনে এক বিশাল সহযোগী সদস্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহস্প্রতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০দিকে উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের নাওডাঙ্গা স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামী সভাপতি মাওলানা মো. সামচুল হুদা বাবুলের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- সম্মেলনের প্রধান অতিথি ভুরুঙ্গামারী সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আজিজুর রহমান সরকার (স্বপন), বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসের শুরা সদস্য ও জেলা শাখার আমীর মাওলানা আব্দুল মতিন ফারুক্বী, আমন্ত্রিত অতিথি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জেলা শাখার সেক্রেটারি মাওলানা নিজাম উদ্দিন, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেলা শাখার সভাপতি ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. ইয়াসিন আলী সরকার, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জেলা শাখার সহকারী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মো. শাহাজালাল সবুজ, সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল হামিদ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জেলা শাখার মজলিসে শুরা সদস্য ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাষ্টার মো. রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী উপজেলা শাখার আমীর মাওলানা মো. আব্দুল মালেক, সেক্রেটারি মাওলানা মো. আব্দুর রহমান ও বাংলাদেশ ছাত্র শিবির উপজেলা শাখার সভাপতি মিরাজ হোসেন প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা জানান, ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী জালেম সরকারের পতন ঘটে। এই জালেম সরকার তার পোষা পুলিশ বাহিনী দিয়ে দীর্ঘ ১৬ থেকে ১৭ বছর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সব ধরনের কার্যক্রম স্বাধীন ভাবে করার সুযোগ দেয়নি। এই দেশটা আওয়ামী জালেম সরকার ও তার মন্ত্রী -এমপি লুটপাট করে ধ্বংস নীলা ভূমিতে নিয়ে যায় এবং দেশ-বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেন। পাপ বাপকেও ছাড়ে না। ৫ আগস্ট আওয়ামী জালেম সরকার দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে অত্যান্ত মনোমুগ্ধকর পরিবেশ ও স্বাধীন ভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সব ধরনের সভা ও সম্মেলনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছি।
এ সময় বক্তৃতারা আরও জানান, সকল নেতাকর্মী আপনারা একজন শুধু জামায়াতে ইসলামীর সদস্য নন। আপনারা একেজন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী উপজেলা আমীর ও সেক্রেটারি মনে করে ইসলামী অনুশাসন ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর গঠন তন্ত্র অনুযায়ী দলকে শক্তি শালি করার লক্ষ্যে কাজ করবে এবং সমাজে গরীব অসহায় মানুষের পাশে দ্বারাবেন। এখন দেশে সেই খুনি হাসিনার শাসন ব্যবস্থা নেই। আপনারা বুক ফুলে জামায়াতের কর্মী ও সদস্য পরিচয় দিবেন। সাধারণ মানুষকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দলের আদর্শ তুলে ধরবেন। এভাবেই একদিন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দল রাষ্ট্র ক্ষমতা আসবেই ইনশাআল্লাহ।
এইচএ