জার্মানির মাগডেবার্গ শহরের একটি ক্রিসমাস মার্কেটে ভিড়ের মধ্যে গাড়ি চালিয়ে দেওয়ার ঘটনায় এক শিশুসহ দুইজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৬৮ জন। এদের মধ্যে ১৫ জনের অবস্থা গুরুতর।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মধ্যে জার্মানির স্যাক্সনি-আনহাল্ট রাজ্যের রাজধানী মাগডেবার্গে এ ঘটনা ঘটে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
এ ঘটনায় ওই গাড়ির চালককে গ্রেফতার করেছে জার্মান পুলিশ। তিনি সৌদি আরবের এক নাগরিক। এই ঘটনাকে ইচ্ছাকৃত হামলা হিসেবে বর্ণনা করেছেন কর্মকর্তারা। ঘটনার তদন্ত চলছে।
স্যাক্সোনির প্রধানমন্ত্রী রেইনার হাসেলফ জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তি ৫০ বছর বয়সী একজন সৌদি আরবীয় ডাক্তার বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভিডিও ফুটেজে তার গ্রেপ্তার হওয়ার মুহূর্তটি দেখা গেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, সন্দেহভাজন হামলাকারীর নাম তালেব এ। তিনি মনোরোগ বিশেষজ্ঞ। ২০০৬ সাল থেকে জার্মানিতে বসবাস করছিলেন তিনি। সম্প্রতি বার্নবার্গে একজন চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেছিলেন।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, সন্দেহভাজন ব্যক্তি একাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। কারণ গাড়িতে শুধু একজন লোকই ছিল। এছাড়া গাড়িতে একটি ব্যাগ পাওয়া গেছে। তবে একজন সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষজ্ঞ মনে করেন, এর সঙ্গে বড় নেটওয়ার্কের সংশ্লিষ্টতা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, সন্ধ্যা ৭টার কিছু পরেই একজন গাড়িচালক অসংখ্য মানুষের মধ্য দিয়ে মার্কেটের ভেতরে প্রায় ৪০০ মিটার পথ গাড়ি চালিয়ে নিয়ে যান। এরপর জার্মানির নানা শহরে ‘ক্রিসমাস মার্কেটগুলো’ আতঙ্কে বন্ধ করে দেওয়া হয়। হামলার ঘটনার পর ম্যাগডেবুর্গ পুলিশ এলাকাটি ঘেরাও করে রাখে। কারণ, পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ওই গাড়িতে বিস্ফোরক রয়েছে বলে সন্দেহ করা হয়ছে। হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরব। হামলাকে নৃশংস এবং কাপুরুষোচিত কর্মকাণ্ড উল্লেখ করে এর নিন্দা জানিয়েছেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লায়েন।
জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ হামলায় হতাহত ব্যক্তিদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি আগামীকাল রোববার ম্যাগডেবুর্গ শহরে যাবেন বলে জানিয়েছেন। ২০১৬ সালের ১৯ ডিসেম্বর বার্লিনে ‘ক্রিসমাস মার্কেটে’ তিউনিসিয়ার এক নাগরিক গাড়ি চালিয়ে হামলা করে। ওই ঘটনায় ১২ জন নিহত হয়েছিল।
এমআর