এইমাত্র
  • শরীরের পোড়া ক্ষত সারাতে তেলাপিয়া মাছের চামড়ার ব্যবহার
  • ৩০ জুনের আগেই সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা
  • কোম্পানীগঞ্জে পৌরসভা বিএনপি'র উঠান বৈঠক ও শীতবস্ত্র বিতরণ
  • নিক্সন ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাবে ৩ হাজার ১৬২ কোটি টাকা লেনদেন
  • বিডিআর জওয়ানদের মুক্তির দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ
  • রংপুরকে বড় লক্ষ্য দিলো ফরচুন বরিশাল
  • থানার ভেতরে মিলল ওসির ঝুলন্ত মরদেহ
  • ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে: মির্জা ফখরুল
  • জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা: খালেদা জিয়ার আপিলের রায় ১৪ জানুয়ারি
  • ৪৩তম বিসিএসে বাদ পড়া বেশিরভাগই নিয়োগ পাচ্ছেন
  • আজ বৃহস্পতিবার, ২৬ পৌষ, ১৪৩১ | ৯ জানুয়ারি, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    টাঙ্গাইলের ৪০ লাখ জনগনের শীতবস্ত্রের বরাদ্দ মাত্র ৮৭ লাখ টাকা

    রাইসুল ইসলাম লিটন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, টাঙ্গাইল প্রকাশ: ৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৪২ পিএম
    রাইসুল ইসলাম লিটন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, টাঙ্গাইল প্রকাশ: ৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৪২ পিএম

    টাঙ্গাইলের ৪০ লাখ জনগনের শীতবস্ত্রের বরাদ্দ মাত্র ৮৭ লাখ টাকা

    রাইসুল ইসলাম লিটন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, টাঙ্গাইল প্রকাশ: ৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৪২ পিএম

    টাঙ্গাইলের ৪০ লাখের অধিক জনসংখ্যার বিপরীতে শীতবস্ত্রের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে মাত্র ৮৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এছাড়া প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের ত্রাণ তহবিল থেকে ১০ হাজার কম্বল বরাদ্দ করা হয়েছে। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানাগেছে।

    জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয়ের সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইলের ১২টি উপজেলা ও ১১টি পৌরসভার ৪০ লাখ ৩৭ হাজার ৬০৮ জন মানুষের বিপরীতে শীতার্ত অসহায় ও দরিদ্র মানুষের জন্য মোট ৮৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা সরকারি বরাদ্দ পাওয়া গেছে।

    এর মধ্যে ধনবাড়ী উপজেলার জন্য ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও পৌরসভার জন্য ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, মধুপুর উপজেলার জন্য ৬ লাখ ও পৌরসভার জন্য ২ লাখ টাকা, গোপালপুর উপজেলায় ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও পৌরসভার জন্য ২ লাখ টাকা, ভূঞাপুর উপজেলায় ৫ লাখ টাকা ও পৌরসভার জন্য ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ঘাটাইল উপজেলায় ৬ লাখ টাকা ও পৌরসভায় ২ লাখ টাকা, কালিহাতী উপজেলায় ৬ লাখ এবং কালিহাতী পৌরসভায় ১ লাখ ৫০ হাজার ও এলেঙ্গা পৌরসভায় ১ লাখ টাকা, টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় ৬ লাখ টাকা ও পৌরসভায় ২ লাখ টাকা, দেলদুয়ার উপজেলায় ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা, নাগরপুর উপজেলায় ৬ লাখ টাকা, মির্জাপুর উপজেলায় ৬ লাখ টাকা ও পৌরসভায় ২ লাখ টাকা, বাসাইল উপজেলায় ৫ লাখ ও পৌরসভায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং সখীপুর উপজেলায় ৬ লাখ ও পৌরসভায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

    সূত্রমতে, বরাদ্দপ্রাপ্ত উল্লেখিত টাকা দিয়ে ‘কোটেশন বিজ্ঞপ্তি’র মাধ্যমে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল কিনে ছিন্নমূল, অসহায়, দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়া প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিল থেকে পাওয়া ১০ হাজার কম্বলের মধ্য থেকে ১২টি উপজেলায় ৫০০পিস করে ৬ হাজার কম্বল দেওয়া হয়েছে। বাকিগুলো জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে শীতার্ত ছিন্নমূল মানুষের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে।

    সূত্র জানায়, জেলার রেল ও বাস স্টেশন, মসজিদ-মাদ্রাসা ও স্কুল-কলেজের বারান্দা, হাসপাতাল ও চিকিৎসালয় এবং বিভিন্ন মার্কেটের আঙিনায় অসহায় ছিন্নমূল মানুষের শীত নিবারণে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরেজমিনে প্রত্যক্ষ করে কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে।

    এরই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার(৭ জানুয়ারি) রাতে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাকুয়া ও কাতুলী ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে শীতার্ত ছিন্নমূল মানুষের মাঝে প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিল থেকে পাওয়া ৭৫০পিস কম্বল বিতরণ করেন, জেলা প্রশাসক শরীফা হক। ওই কম্বল বিতরণকালে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আব্দুল্ল্যাহ-আল-মামুন, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান, টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদা আক্তার, জেলা প্রশাসনের ডেপুটি নেজারত কালেক্টর মো. আল আমিন কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    টাঙ্গাইল জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আখতারুজ্জামান জানান, শীতবস্ত্র কেনার জন্য সরকারিভাবে ১২ উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে তিন লাখ টাকা করে মোট ৩৬ লাখ এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও ৩২ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এছাড়া জেলার ১১টি পৌরসভার মধ্যে প্রথম শ্রেণির জন্য দুই লাখ করে, দ্বিতীয় শ্রেণির জন্য দেড় লাখ করে এবং তৃতীয় শ্রেণির জন্য এক লাখ টাকা করে বরাদ্দ পাওয়া গেছে।

    তিনি জানান, বরাদ্দ পাওয়া টাকা দিয়ে ‘কোটেশন বিজ্ঞপ্তি’র মাধ্যমে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল কিনে ন্যায্যতার ভিত্তিতে শীতার্ত মানুষের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে বরাদ্দ পাওয়া কম্বলগুলোর বিতরণ কার্যক্রম প্রায় শেষ পর্যায়ে। এছাড়া প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিল থেকে প্রাপ্ত ১০ হাজার কম্বলও শেষের দিকে।

    তিনি আরও জানান, ৪০ লাখ জনগোষ্ঠীর এ বিশাল জেলায় প্রাপ্ত বরাদ্দ অপ্রতুল। আরও বেশি বরাদ্দ পাওয়া গেলে সাধারণ মানুষের শীত নিবারণে অধিকতর ভূমিকা পালন করা যাবে।

    এমআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…