ভোলার কাঁচা বাজারে বেড়েছে শীতকালীন সবজি সরবরাহ। প্রতিদিন ভোরে জেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে এসব সবজি এসে কাঁচাবাজারে পৌঁছায়। সরবরাহের তুলনায় বেচা-কেনা কম থাকায় প্রতিটি সবজির দাম কমেছে। এতে স্বস্তিতে সবজি কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারা।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সরেজমিনে গিয়ে ভোলা সদর উপজেলার কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় প্রতিটি সবজির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে, এবং সর্বোচ্চ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে টমেটো।
বিক্রেতারা বলছেন, ৫-৭ দিনের ব্যবধানে প্রতিটি সবজির দাম কমেছে। গেল এক সপ্তাহ আগে ভোলার বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজিতে। এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজিতে, ৬০ টাকার বেগুন বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়, ৭০ টাকার টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়, প্রতি পিচ পাতাকপি এবং বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকায়, প্রতি পিচ লাউ বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১২ টাকায়।
এদিকে সব ধরনের সবজির দাম কম পাওয়ায় খুশি ক্রেতারা। তারা বলছেন দীর্ঘদিন পর সবজির দাম কমেছে যা শীতকালীন সবজি বাজারে একরকম স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারছেন।
ভোলা কাঁচাবাজের সবজি কিনতে আসা নুরজাহান বেগম জানান, শীতকালীন সব সবজির দামই কমেছে, যা এর আগে কিনে খাওয়া সম্ভব ছিলো না। এখন সবকিছুই অল্প দামে পাওয়া যাচ্ছে, তাই সব রকমেরই সবজি কিনেছি।
মো. নুরে আলম নামের এক ক্রেতা জানান, সবজির বাজার এইরকম থাকলে সাধারণ মানুষ স্বস্তিতে বাজারে আসতে পারবে। দুবেলা দুমুঠো খাবারে সবজি খেতে পারবে। তবে বাজার মনিটরিং যেনো সবসময় চালু থাকে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
শিবপুর ইউনিয়ন থেকে সবজি কিনতে আসা ক্রেতা মুসা কালিমূল্ল্যাহ জানান, সব ধরনরে সবজির দাম কম হওয়ায় বাজারে এসে ভালো লাগছে। তবে এই রকম বাজার দাম অব্যাহত রাখতে মনিটরিং করা প্রয়োজন যাতে কোন অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের সুযোগ না পায়।
এ দিকে চাষীরা বলছেন, শুরুতে সবজির দাম কিছুটা পেলেও এখন পাচ্ছেন না। ফলন ভালো হওয়ায় বাজারে বেড়েছে সবজি সরবাহ। সরবাহ বেশি থাকায় দাম কমেছে। ফলে বাধ্য হয়ে কম দামেই বিক্রি করছেন শীতকালীন সবজি। তবে শুরুতে বাজার দর কিছুটা বেশি থাকায় এখন ক্ষতির সম্ভাবনা নেই।