শীতের হীমেল হাওয়া নামতেই পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় জমে উঠেছে ঐতিহ্যবাহী পিঠার ব্যবসা। ব্যবসায়ীরা উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে জনসমাগমস্থলে বিভিন্ন পিঠার পসরা সাজিয়ে বসছেন। সন্ধা হলেই পিঠার দোকান গুলাতে দেখা যায় পিঠা ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়।
এ ব্যবসায় খুব বেশি পুঁজি লাগে না। জ্বালানি হিসেবে লাকড়ি, গুড়, আটা, নারিকেল কিনেই শুরু করা যায় এ ব্যবসা।
শীতের শুরুতেই স্থানীয় উদ্যোক্তারা অস্থায়ী দোকান সাজিয়ে পিঠা তৈরি ও বিক্রির কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। অনেকেই বছরজুড়ে ভিন্ন পেশায় থাকলেও শীতের মৌসুমে অতিরিক্ত আয়ের জন্য পিঠা বিক্রিতে নামেন। বাউফলের কালাইয়া বাজার, কেশবপুর, কালিশুরী, নাজিরপুর, বগাসহ বিভিন্ন এলাকায় শীতের পিঠার দোকানগুলোতে ক্রেতার ভিড় থাকে লক্ষণীয়।
কালাইয়া বন্দরের বাজার সড়কে পিঠা বিক্রেতা মো. রফিক বলেন, সারা বছর কাজ না থাকলেও শীতে পিঠা বিক্রি করে ভালো আয় হয়। সহযোগী হিসাবে থাকেন স্ত্রী রাহিমা। তিনি থাকেন চুলার দায়িত্বে। আমি বিক্রি করি। প্রতিদিন বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত দোকান খোলা থাকে। কয়েক পদের পিঠা বিক্রি করা হয়, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য চিতই পিঠা, ভাপা পিঠা, চাটই পিঠা, ডিম পিঠা। চিতই ও চাটই পিঠা খাওয়ার জন্য সাথে দেওয়া হয় সুটকির ভর্তা, সরিষা ভর্তা, মরিচ ভর্তা, ধনিয়াপাতা ভর্তা। ওইসব পিঠার একেকটির দাম নেওয়া হয় প্রকারভেদে পাঁচ টাকা থেকে দশ টাকা। ভাপা ও চিতই পিঠার চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
ক্রেতা মো. নাছিড় উদ্দিন হেলালী বলেন, শীত মানেই পিঠা। কাজের ফাঁকে বন্ধুদের নিয়ে প্রতিদিনই কোনো না কোনো দোকানে চলে যাই। শীতের পিঠার আলাদা স্বাদই আলাদা।
সংস্কৃতকর্মী অমল সাহা বলেন, স্থানীয়দের পাশাপাশি দূর-দূরান্ত থেকে আসা মানুষও এই পিঠা উৎসবের অংশ হয়ে ওঠেন। শীতের কুয়াশা, খেজুর গুড়ের সুবাস আর গরম পিঠার স্বাদ মিলিয়ে বাউফলে শীত যেন হয়ে ওঠে এক মধুর উৎসবের নাম।
এসআর