সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল ‘Sanvee's by Tony’ ফেসবুক পেইজের এডমিন ও নারী উদ্যোক্তা রোবইয়াত ফাতেমা তনির বিরুদ্ধে তার শিশু সন্তান মানতাহা ইসলাম সানভীকে জোর করে আটকে রেখে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করছেন শিশুটির বাবা সদরুল ইসলাম সোয়েব।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সকালে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের আখড়াবাজার এলাকায় সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন শিশুটির বাবা সদরুল ইসলাম সোয়েব।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আলোচিত মুখ রোবাইয়াত ফাতেমা তনি। রাজধানীতে কয়েকটি শোরুম আছে তার। অনলাইনেও বিক্রি করেন পোশাক এবং কসমেটিক্স। তবে এবার আলোচনায় আসলেন শিশু সন্তান মানতাহা ইসলাম সানভীকে জোর করে আটকে রেখে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি। জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৮ জুন রোবইয়াত ফাতেমা তনির বিয়ে হয় সদরুল ইসলাম সোয়েবের সঙ্গে। বিয়ের পর মানতাহা ইসলাম সানভীর জন্ম হয়। বর্তমানে সানভীর বয়স ১১ বছর। পরে তাদের দাম্পত্য জীবনে বনিবনা না হওয়ায় ২০১৮ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি বিয়ে বিচ্ছেদ হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সানভীর বাবা সদরুল ইসলাম সোয়েব অভিযোগ করে বলেন, সানভী শিশু থাকায় শর্ত অনুযায়ী সে মায়ের কাছেই বড় হতে থাকে। তবে, মাঝে মধ্যে বাবার সঙ্গে মেয়ের দেখা করে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তনি আমাদের মেয়ে মানতাহা ইসলাম সানভীকে অন্যায়ভাবে ঢাকায় আটকে রেখেছে। তার সঙ্গে আমার দেখা করার কোনো সুযোগ দিচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, বিচ্ছেদের পর রোবইয়াত ফাতেমা তনি জনৈক শাহাদাত রহমানকে বিয়ে করেন। শাহদাত রহমানের মৃত্যুর পর সিদ্দিক নামে এক ইংল্যান্ড প্রবাসীকে বিয়ে করেন। তনি মেয়েকে নিয়ে সিদ্দিকের সঙ্গে ইংল্যান্ড চলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
মায়ের জিম্মায় থাকা শিশুসন্তান মানতাহা ইসলাম সানভীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক আটক রেখে বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে উল্লেখ করে তাকে উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান সোয়েব। সেই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তার অভিযোগ, তনি শিশুটিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খারাপভাবে উপস্থাপন করে ব্যবসায়িক উদ্দেশে ভাইরাল করেছে। এতে সে মানসিক ট্রমার মধ্যে পড়েছে।
মায়ের জিম্মায় থাকা শিশুসন্তান মানতাহা ইসলাম সানভীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক আটক রেখে বিদেশে পাঠিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে উল্লেখ করে তাকে উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান, সানভীর বাবা সদরুল ইসলাম সোয়েব। সেই সাথে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তার অভিযোগ, তনি শিশুটিকে সামাজিত যোগাযোগ মাধ্যমে বাজেভাবে উপস্থাপন করে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ভাইরাল করেছে। এতে সে মানসিক ট্রমার মধ্যে আছে।
এ ব্যাপারে গত ২৪ নভেম্বর কিশোরগঞ্জের ১ নম্বর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি এজহার দাখিল করেছেন সদরুল ইসলাম সোয়েব। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে আগামী ২২ ডিসেম্বর শুনানীর দিন নির্ধারণ করেছেন।
সদরুল ইসলাম সোয়েব কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের গাইটাল জেমিনি রোড এলাকার শামসুল ইসলাম রেনুর ছেলে। অপর দিকে অভিযুক্ত রোবইয়াত ফাতেমা তনি একই এলাকার মৃত তাহের উদ্দিন আহমেদের মেয়ে। বর্তমানে তিনি ঢাকার বনানী এলাকায় বসবাস করেন।
ইখা