ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার মূল অভিযুক্ত ‘শুটার’ ফয়সাল করিম মাসুদের পলায়ন পরিকল্পনার একের পর এক রোমহর্ষক তথ্য বেরিয়ে আসছে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সীমান্ত পার হয়ে দেশ ছাড়ার ঠিক আগমুহূর্তে স্ত্রীর কাছ থেকে নেয়া ৩০ হাজার টাকাই ছিল মাসুদের শেষ সম্বল। আর এই টাকা লেনদেনের পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়েছে অত্যন্ত গোপনে–মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে।
তদন্ত সূত্র বলছে, ঢাকা থেকে সীমান্ত এলাকা পর্যন্ত পৌঁছাতে মাসুদ ও তার সহযোগী আলমগীর হোসেন অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা এবং দুটি প্রাইভেটকার ব্যবহার করেন। পালানোর পথে তারা যখন ঢাকার ধামরাই থেকে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের দিকে যাচ্ছিলেন, তখন টাকার সংকট দেখা দিলে মাসুদের স্ত্রী সেই প্রাইভেটকার চালকের নম্বরে ৩০ হাজার টাকা পাঠান। ময়মনসিংহে পৌঁছানোর পর শহরের একটি দোকান থেকে সেই টাকা ক্যাশ-আউট করেন মাসুদ। প্রযুক্তির সহায়তায় এই গোপন লেনদেনের সূত্র ধরেই পুলিশ এখন মাসুদের পলায়ন পথের মানচিত্র স্পষ্ট করছে।
এদিকে, এই হামলার নেপথ্যে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের একজন পলাতক শীর্ষ নেতার ব্যক্তিগত সহকারী এবং এক দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীর সংশ্লিষ্টতার জোরালো গুঞ্জন ছড়িয়েছে। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছেন।
পুলিশ জানায়, তদন্তে ফয়সালের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে যোগাযোগ রাখা আরও দু-তিনজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের গ্রেফতারে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলছে। হাদির ওপর হামলার পেছনে অর্থের জোগানদাতা এবং রাজনৈতিক উসকানিদাতাদের মুখোশ উন্মোচনে কাজ করছে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা।
অন্যদিকে ফয়সাল করিম মাসুদের বোনের বাসার পাশ থেকে দুটি ম্যাগাজিন ও ১১ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে র্যাব। গ্রেফতার করা হয়েছে ফয়সালের মা-বাবাসহ তিনজনকে।
আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে র্যাবের গণমাধ্যম শাখা থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এইচএ