পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে জমি দখল, মিথ্যা মামলা এবং নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বিভাগের শিক্ষক ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতা রাশেদুল ইসলাম রাশেদের বিরুদ্ধে।
রবিবার (২৩ মার্চ) এ ঘটনার প্রতিবাদে ভুক্তভোগীরা দেবীগঞ্জ-সোনাহার সড়কের বটতলী বাজার এলাকায় মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, রাশেদুল ইসলাম রাশেদ দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে সাবেক ইউপি সদস্য একেএম মনজিরুল হকের ওপর নানা অত্যাচার চালিয়ে আসছেন। মিথ্যা মামলা, বাড়িঘরে হামলা, লুটপাট ও জমি দখলের মাধ্যমে তাকে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে। বক্তারা আরও জানান, মসজিদের জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে লাবু সরকার নামের এক ব্যক্তি তাদের একঘরে করে রেখেছেন।
সাবেক ইউপি সদস্য একেএম মনজিরুল হক বলেন, আমার বিরুদ্ধে করা বাটোয়ারা মামলা ২০১৮ ও ২০২৩ সালে আদালত খারিজ করে দেয় কিন্তু ভূমিদস্যুরা জমির দলিল ক্রয় করে আমাদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত অব্যাহত রেখেছে। আমাদের দীর্ঘদিনের ভোগদখলীয় জমি মসজিদের আয়ত্তে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। যা সম্পূর্ণ অন্য দাগে রয়েছে। আমার জমি দখলে নিয়ে আমাকে সমাজ থেকে বয়কট করার ঘোষণা দিয়েছে তারা।
ভুক্তভোগী এমদাদুল হক বলেন, আমাদের পরিবারের ৮ শতক জমি লাবু ইসলাম গং জোরপূর্বক মসজিদের নামে দখল করেছে। আমরা থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ মসজিদের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয় কিন্তু এরপর আমাদের সমাজ থেকে বয়কট করা হয়। আমরা ন্যায়বিচার চাই।
তবে অভিযুক্ত শিক্ষক রাশেদুল ইসলাম রাশেদ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাদের মধ্যে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। আমরা হামলার শিকার হয়েছি, তাই আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি। রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর অভিযোগ সত্য নয়।
এ বিষয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি লাবু ইসলাম বলেন, রেকর্ড অনুযায়ী জমিটি কবরস্থানের অংশ। আমরা থানায় অভিযোগ দিয়েছি কিন্তু মনজিরুল হক কোনো সালিসে আসেননি।
এইচএ