ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের ধলেশ্বরী টোলপ্লাজায় যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় ছয়জন নিহতের ঘটনায় বাসের চালক ও সহকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
র্যাব জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় জড়িত সেই বাসের ফিটনেস সনদ নেই। আর চালকের লাইসেন্স দুই বছর ধরে মেয়াদোত্তীর্ণ।
আজ শনিবার সকালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মিজমিজি এলাকা থেকে বাসচালক নুরুদ্দিনকে (২৯) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১০। তিনি ভোলার দৌলতখান উপজেলার মধ্য জয়নগর গ্রামের মো. রফিক মিয়ার ছেলে। এ ছাড়া গতকাল শুক্রবার বাসের সহকারীকে আটক করে সেনাবাহিনী।
র্যাব-১০-এর লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং লেফটেন্যান্ট মুনিম ফেরদৌস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, নুরুদ্দিন গত ১০ বছর ধরে বাস, ট্রাক, পিকআপসহ বিভিন্ন ধরনের গাড়ি চালাতেন। তার ড্রাইভিং লাইসেন্স দুই বছর ধরে মেয়াদোত্তীর্ণ। এ ছাড়া বাসটির কোনো ফিটনেস সনদ ছিল না।
মুনিম ফেরদৌস আরও জানান, গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর সায়েদাবাদ থেকে বেপারি পরিবহনের একটি বাসে ৬০ যাত্রী নিয়ে পটয়ুাখালীর কুয়াকাটার উদ্দেশে যাচ্ছিলেন চালক নুরুদ্দিন। টোলপ্লাজায় দাঁড়িয়ে থাকা মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকারে ধাক্কা দেওয়ার পর নুরুদ্দিন কৌশলে পালিয়ে অটোরিকশা করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আব্দুল্লাহপুর এলাকায় যান। এরপর সিএনজিতে করে নারায়ণগঞ্জে তার ফুফাতো বোনের বাসায় চলে যান। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি দুর্ঘটনায় বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
উল্লেখ্য, টোলপ্লাজায় বাসের ধাক্কায় আমেনা আক্তার (৪৫), ইসরাত জাহান ইমি(২৬), রিহা মনি (১১), আইয়াজ হোসেন (২), আবদুল্লাহ (৭) ও রেশমা (৩৩) নিহত হয়। তাদের মধ্যে চারজন একই পরিবারের সদস্য।
এফএস