যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফ্লোরিডায় এক বিস্তৃত সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক হস্তক্ষেপের সম্ভাবনাসহ তার বৈদেশিক নীতির অন্যান্য বিষয় নিয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) ট্রাম্প তার মার-এ-লাগো এস্টেটে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। খবর আলজাজিরার।
এর একদিন আগে নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে তার বিজয়কে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয় কংগ্রেস। এ ছাড়া শপথ নেওয়ার ১৩ দিন আগে এই সংবাদ সম্মেলন করলেন তিনি।
এই সংবাদ সম্মেলনে গাজা যুদ্ধ নিয়ে দীর্ঘ সময় কথা বলেন ট্রাম্প। গাজায় ইসরাইলের হামলায় ইতোমধ্যেই ৪৫ হাজার ৮৮৫ এর বেশি ফিলিস্তিনির প্রাণ হারিয়েছেন।
নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট তার মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফকে পডিয়ামে ডেকে সাম্প্রতিক আলোচনার আপডেট দেন। রিয়েল এস্টেট বিনিয়োগকারী এবং বৈদেশিক নীতির বিষয়ে কোনো অভিজ্ঞতা না থাকলেও উইটকফ সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যের অস্ত্রবিরতি আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
তাৎক্ষণিক মন্তব্যে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ বলেন, আমি মনে করি আমরা সত্যিই ভালো অগ্রগতি করেছি এবং আমি খুবই আশাবাদী যে অভিষেক অনুষ্ঠানের আগে আমরা প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে ভালো কিছু ঘোষণা করতে পারব।
কিন্তু নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট আরও কঠোর বক্তব্য দেন, বিশেষ করে হামাসের হাতে আটক বাকি বন্দিদের মুক্তির বিষয়ে।
ট্রাম্প সতর্ক করে বলেন হামাস তার দায়িত্ব গ্রহণের সময়ের মধ্যে যদি বন্দিদের মুক্ত না করে তাহলে তাণ্ডব শুরু হবে। কিছু পর্যবেক্ষক ট্রাম্পের এই বক্তব্যকে গাজায় সম্ভাব্য মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের হুমকি হিসেবে দেখছেন। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই পথ অবলম্বন করতে অস্বীকার করেছেন, যদিও ইসরাইলকে সামরিক সহায়তা বৃদ্ধি করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে যখন তাকে তার বক্তব্য ব্যাখ্যা করতে বলা হয়, তখন ট্রাম্প কঠোরভাবে উত্তর দেন, আপনাকে কি আমি এর ব্যাখ্যা দিতে হবে? যদি এই বন্দিরা ফেরত না আসে, তবে তাণ্ডব শুরু হবে।
তিনি বলেন, যদি তারা আমার দায়িত্ব গ্রহণের সময়ের মধ্যে ফেরত না আসে, তবে মধ্যপ্রাচ্যে তাণ্ডব শুরু হবে। এটি হামাসের জন্য ভালো হবে না, এবং এটি কারো জন্যই ভালো হবে না। তাণ্ডব শুরু হবে। এর চেয়ে বেশি কিছু বলার প্রয়োজন নেই, তবে এটাই হবে।
পিএম