ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের বিখ্যাত তিরুপতি মন্দিরে পদপিষ্ট হয়ে ৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় ৪০ জন। বুধবার (৮ জানুয়ারি) গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। হিন্দু সম্প্রদায়ের বৈকুণ্ঠ একাদশী উদযাপনে তিরুপতি মন্দিরে খোলা হয়েছিল টোকেন কাউন্টার। সেখানেই হুড়োহুড়ির জেরে পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, যে ছয়জন প্রাণ হারিয়েছেন তাদের মধ্যে এক নারী পুর্নার্থী রয়েছেন। তিনি তামিলনাড়ুর সালেমের বাসিন্দা। ১০ থেকে ১৯ জানুয়ারিতে পর্যন্ত অবধি বৈকুণ্ঠ দ্বার দর্শনের বন্দোবস্ত করা হয়েছে এই মন্দিরে। সেই দর্শনের টোকেন সংগ্রহের জন্য বুধবার রাতে ব্যাপক মানুষ টিকিট সংগ্রের জন্য ভিড় করে। তখনই ঘটে বিপত্তি।
ভোর পাঁচটায় কাউন্টার খোলার কথা থাকলেও বিকেল থেকেই ভিড় বাড়তে শুরু করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি পুলিশ ও নিরাপত্তারক্ষীরা। শ্রীনিবাসম, বৈরাগীপাত্তেড়া রমানাইডু স্কুল ও সত্যনারায়ণপুরমে পদপিষ্টের ঘটনার কথা জানা গেছে। অনেকেই হুড়োহুড়ি ও পদপিষ্টের ঘটনায় অচেতন হয়ে পড়েছেন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু। পরিস্থিতির ওপর খোঁজ রাখছেন তিনি।
কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে, যাতে ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি এড়ানো যায়। ব্যাপক ভিড়ের সম্ভাবনা আঁচ করেই ১০ থেকে ১২ জানুয়ারি টোকেন দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে ৮টি জায়গায়। পর্যাপ্ত নিরাপত্তার বন্দোবস্ত থাকা সত্ত্বেও কেন এমন দুর্ঘটনা ঘটল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
এদিকে মন্দির কর্তৃপক্ষের দাবি, ভিড় মসৃণ করার জন্য এবং বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি না হয়, তার জন্য ৯৪টি কাউন্টার খোলা হয়েছিল। সেখান থেকেই কুপন দেয়া হচ্ছিল। তবে বুধবার রাত যতো বাড়তে থাকে ভিড়ের চাপ ততোই বাড়ে।
এবি