কক্সবাজারের চকরিয়ায় কিশোরীকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি তাজুল ইসলাম ধর্ষণের দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব ১৫। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সেও ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চকরিয়া থানার এস আই মোহাম্মদ ইয়াসিন জানান, বদরখালীর বাজারপাড়ার তাজুল ইসলাম (১৮) এ ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় চকরিয়ার জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক আনোয়ারুল কবিরের সামনে ওই জবানবন্দী দেন ওই ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী তাজুল। জবানবন্দীতে তাজুল স্বীকার করেছেন তিনিসহ ৬ জন মিলে ওই কিশোরীকে নির্যাতন করেন।
র্যাব ১৫ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল এলাকা থেকে এ ঘটনায় মো. ফারুক (২৭) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। ফারুক বদরখালী ইউনিয়নের টুটিয়াখালি এলাকার বাসিন্দা।
গত রবিবার রাতে ওই কিশোরী চট্টগ্রাম থেকে বাসে করে চকরিয়া উপজেলার বদরখালী স্টেশনে পৌঁছান। পরে সেখান থেকে মহেশখালীর গ্রামের বাড়ি ফিরতে বদরখালী-মহেশখালী সংযোগ সেতুর পূর্বাংশে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিল। এসময় দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাকে তুলে পার্শ্ববর্তী প্যারাবনে নিয়ে যায়। সেখানে কয়েকজন যুবক তার উপর পাশবিক নির্যাতন চালায়।
ধর্ষকদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে কক্সবাজারের বিভিন্ন জায়গায় মানববন্ধন ও মশাল মিছিল করে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। এ নিয়ে সারাদেশেই তৈরি হয় আলোচনা। এরপর ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে চকরিয়া থানায় মামলাও দায়ের করেন। এর আগে এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে ৮ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার মধ্যে ৪ জনকে শনাক্ত করে ভুক্তভোগী কিশোরী। দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে বুধবার আদালতে পাঠায় পুলিশ।
মো. কামরুজ্জামান জানান, এ বিষয়ে জানার পর ধর্ষকদের দ্রুত গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে র্যাব-১৫। বৃহস্পতিবার ভোরে গ্রেপ্তার করা হয় ফারুককে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফারুক ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। ফারুককে চকরিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এআই