নতুন বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে যেকোনো ধরণের হামলা-মামলার ঘটনা অতীতের বিচারহীনতারই উদাহরণ বলে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, নতুন দেশ গড়ার সময়ে ফারুক হাসানের উপর এমন হামলার ঘটনা দুঃখজনক। রাজনীতি সবার জন্য। রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় যে রাজনীতি হয়েছে বিগত বছর, সেই রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার রাজনীতি আর দেখতে চাই না।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বিকেলে দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত গণ অধিকার পরিষদের সিনিয়র সহসভাপতি ফারুক হাসানকে বিএসএমএমইউতে দেখতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
খসরু বলেন, এত বড় ত্যাগের পরও এখনো বিচারহীনতার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় যদি রাজনীতি করতে হয়, তাহলে শেখ হাসিনাকে বিদায় করার প্রয়োজন ছিল না। রাজনীতি করতে চাইলে পরস্পরের প্রতি সম্মান রেখেই রাজনীতি করতে হবে। কয়েকজন মানুষের কথায় দেশ চলবে না, দেশ চলবে জনগণের কথায়।
তিনি আরও বলেন, শান্তিপূর্ণ রাজনীতি করতে চাইলে সবার পারস্পারিক শিষ্টাচার বজায় রাখতে হবে। এ সময় ফারুক হাসানের ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করা না হলে নিম্ন আদালত ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দেন গণ অধিকার পরিষদের নেতারা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নীরব ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ করেন আহত গণ অধিকার পরিষদের নেতা ফারুক হোসেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যাওয়ার পর ‘মাইনাস-টু’ আলোচনার সমালোচনা করে এর জবাব দিয়ে তিনি বলেন, ‘এরশাদ পারেনি, ওয়ান ইলেভেন সরকারও পারেনি। এখন তো বিএনপি আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী।’
আমির খসরু বলেন, কেউ যদি মনে-মনে মাইনাস-টুর কথা বলে, এটা তাদের মনগড়া, এটা তাদের সমস্যা। বিএনপি আজকে যেখানে দাঁড়িয়ে আছে, তা হলো এই মুহূর্তে সবচেয়ে জনপ্রিয় দল। সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়া, নেতা তারেক রহমান। বাংলাদেশের মানুষ তাদের জন্য অপেক্ষা করে আছে। যারা মাইনাস-টুর কথা বলে, এটা আসলে তাদের চিন্তা ও ইচ্ছার কথা। তাদের এই আশা জীবনেও পূরণ হবে না।
বিএনপি অনেক ত্যাগের পর সবচেয়ে শক্তিশালী দলে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, এখন এসব মনগড়া কথার (মাইনাস-টু) কোনো উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না।
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সর্বপ্রথম সংস্কার নির্বাচন এমন দাবি করে খসরু বলেন, নির্বাচন দিয়ে শুরু করতে হবে গণতন্ত্র উত্তরণের এবং সংস্কারের প্রথম কাজ।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা শুধু কিছুদিন আগের আন্দোলনের কথা বলি। কিন্তু আন্দোলন একদিনে হয়নি- গত ১৫-১৬ বছরের ত্যাগ, এই সময়ে কত মানুষ ত্যাগ স্বীকার করেছেন সেটা ভুলে যাই।
সংস্কার নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আন্দোলন তো আমরা করেছি। সুতরাং আমরা সরকারের সঙ্গে বসবো। আমাদের আন্দোলনের যে প্রেক্ষাপট, ত্যাগ, অবদান। সেটা জাতি জানে।
এইচএ