পাকিস্তানের ঘরোয়া টি–টোয়েন্টি লিগে বড় পরিবর্তনের ঘোষণা এসেছে। প্রতিযোগিতার বিস্তার ও দর্শকসংখ্যা বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে এবারের আসরটি নতুন ফরম্যাটে আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। ২০২৬ সালে অনুষ্ঠেয় এই আসরে দলসংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি টুর্নামেন্টের কাঠামোতেও আনা হয়েছে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন।
অনুমোদিত সূচি অনুযায়ী, পিএসএল ২০২৬ শুরু হবে আগামী ২৬ মার্চ এবং চলবে ৩ মে পর্যন্ত। প্রায় দেড় মাসব্যাপী এই টুর্নামেন্টের মোট সময়কাল নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৯ দিন। এবার প্রথমবারের মতো অংশ নেবে আটটি দল। এর আগে এ টুর্নামেন্টটি হতো ৬টি দল নিয়ে।
নতুন ফরম্যাট অনুযায়ী, টুর্নামেন্টটি হবে দুই ধাপে। প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত হবে সিঙ্গেল লিগ পর্ব। এই পর্বে প্রতিটি দল একবার করে বাকি সাত দলের বিপক্ষে খেলবে। ফলে লিগ পর্বেই সব দলের পারস্পরিক লড়াই সম্পন্ন হবে এবং পয়েন্ট টেবিলে দলগুলোর অবস্থান স্পষ্টভাবে নির্ধারিত হবে।
লিগ পর্ব শেষে প্রতিযোগিতা গড়াবে দ্বিতীয় ধাপে, যা আয়োজন করা হবে ‘সুপার ফোর’ কাঠামোতে। এই ধাপে আটটি দলকে দুটি গ্রুপে ভাগ করা হবে। প্রতিটি গ্রুপে চারটি করে দল থাকবে এবং দলগুলো নিজেদের গ্রুপে তিনটি করে ম্যাচ খেলবে। ফলে এই পর্বে মোট ১২টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
সুপার ফোর পর্ব শেষে পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে সেরা দুটি দল প্লে-অফে জায়গা করে নেবে। প্লে-অফ পর্বে মোট চারটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে, যার মধ্যেই থাকবে ফাইনাল। এই পর্বের মাধ্যমেই নির্ধারিত হবে পিএসএল ২০২৬-এর চ্যাম্পিয়ন।
দলসংখ্যা ছয় থেকে আটে উন্নীত হলেও ম্যাচসংখ্যায় বড় কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। নতুন কাঠামোতেও প্রতিটি দল ন্যূনতম ১০টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে। আয়োজকদের মতে, এতে করে প্রতিযোগিতার ভারসাম্য বজায় থাকবে এবং দলগুলোর প্রস্তুতির ক্ষেত্রেও ধারাবাহিকতা থাকবে।
২০২৬ সালের পিএসএলের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে পাকিস্তানের পাঁচটি শহরে। এগুলো হলো করাচি, লাহোর, রাওয়ালপিন্ডি, মুলতান ও ফয়সালাবাদ। পিএসএলের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো ভেন্যু তালিকায় যুক্ত হচ্ছে ফয়সালাবাদের ইকবাল স্টেডিয়াম।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে পাঁচটি ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে যাত্রা শুরু করে পাকিস্তান সুপার লিগ। ২০১৮ সালে দলসংখ্যা বাড়িয়ে করা হয় ছয়টি। আগামী ১১তম আসরে আরও দুটি নতুন দল যুক্ত হওয়ায় পিএসএল তার যাত্রাপথে নতুন এক অধ্যায়ে প্রবেশ করতে যাচ্ছে।
আরডি