ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় পার্টি (জাপা) মনোনয়ন দেবে বলে জানিয়েছে দলটির মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। তবে শেষ পর্যন্ত দলটি নির্বাচনে যাবে কি না তা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে বলে জানিয়েছেন এই নেতা।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে জাপার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সময় সংবাদকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এই কথা জানান তিনি।
শামীম হায়দার বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার পর ধারণা ছিল, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে। প্রশাসন নিয়ন্ত্রণে নেবে, নিরপেক্ষ হবে। কিন্তু তা হয়নি। সরকার প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে কোনো ধরনের সমঝোতাও হয়নি।’
মনোনয়নের দেয়ার বিষয়ে জাপা মহাসচিব বলেন, ‘নিজস্ব অভ্যন্তরীণ তফসিল হয়েছে। আগামী ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।’
সামনে শঙ্কার নির্বাচন হতে যাচ্ছে উল্লেখ শামীম হায়দার বলেন, ‘সংকট মোচন না করে সংকট ঘনীভূত হতে যাচ্ছে। নির্বাচন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছকে করার চেষ্টা হচ্ছে। দিনের ভোট রাতে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অশনি সংকেত ও মিডিয়া ক্যু হওয়ারও সম্ভাবনা দেখছি।’
পাতানো নির্বাচন হওয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এরপরও জাতীয় পার্টি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখতে মনোনোয়ন জমা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে যদি প্রার্থীদের জীবনের হুমকি রয়েছে বলে মনে হয়, যদি সরকার নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে নির্বাচনে যাবে কি না পুনর্বিবেচনা করবে জাপা।’
নির্বাচন পূর্ববর্তী যে পরিবেশ ও কাঠামো তৈরি করা দরকার ছিল, সরকার তা তৈরি করতে চায়নি অভিযোগ করেন জাপা মহাসচিব বলেন, ‘স্বদিচ্ছার অভাবে তা পারেনি, নিয়তের অভাব ছিল। ঐকমত্য সৃষ্টির কথা থাকলেও জাতীয় পার্টিকে আলোচনার জন্য ডাকা হয়নি। সরকার উদ্যোগ নেয়নি। কমিশনও সেই চেষ্টা করেনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলা প্রমাণ করে, এখনো প্রশাসন ঢিলেঢালাভাবে কাজ করছে। নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ, সেইসঙ্গে নির্বাচন কমিশনও ব্যর্থ।’
আরডি