বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাসপাতাল থেকে হরিণঘাটা জাফরের দোকান পর্যন্ত ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে সাড়ে ৪ কিঃ মিঃ সড়ক প্রসস্তকরন ও মজবুত করনের কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ এলাকাবাসীর। ধসে পড়া রাস্তা দিয়ে ঝুঁকিতে চলাচল করছে হরিণঘাটায় ঘুরতে আসা পর্যটনসহ হাজারো এলাকাবাসী।
জানা গেছে, এই সড়ক প্রশস্ত করুন ও মজবুত করনের টেন্ডার আহ্বান করা হলে পটুয়াখালির মেসার্স আবুল কালাম আজাদ নামে এক ঠিকাদার উক্ত কাজ প্রাপ্ত হন।পরে সাব কন্ট্রাকে উক্ত সড়কের কাজের দায়িত্ব নেন বরগুনার মোঃ শাহিন ও আমতলীর সাবেক চেয়ারম্যান শহিদ মৃধা।
১৪ মে ২৩ তারিখ পাথরঘাটা হাসপাতাল রোড থেকে হরিনঘাটা জাফরের দোকান পর্যন্ত ৬ কোটি ৭২ লক্ষ ৬৯ হাজার ৫২৫ টাকা ব্যয়ে সাড়ে ৪ কিঃ মিঃ দৈর্ঘ এবং পাশে ৩ ফুট বাই ৩ ফুট উভয় পাশে ৬ ফুট প্রসস্ত করনের কাজ শুরু করেন উল্লেখিত ঠিকাদার। কাজের শুরুতেই ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তোলেন উপজেলার একাধিক চেয়ারম্যানসহ এলাকাবাসী।
এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে এবং গোপন সূত্রে জানা গেছে সাড়ে ৪ কিঃ মিঃ সড়কে প্রস্থ ভারানোর জন্য ৩ ফুট গভীর ভেট করার পরে ভেটে বালু মিশ্রিত খোয়া দিয়ে রোলার দেওয়ার পরে কমপেট করার নিয়ম থাকলেও পরিপুর্নভাবে কমপেট না করে দায় সারা নামে মাত্র কাজ করার কারনে সড়কটির কাজ শেষ হতে না হতেই সড়কের বিভিন্ন যায়গা থেকে ধসে পড়ছে।এতে এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
ক্ষোভ প্রকাশ করে সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আলমগির হোসেন,কালমেঘা ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম নাসির, পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মো. গোলাম কিবরিয়া পিয়ার বলেন, সড়কটির কাজের নামে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার এলজিইডির কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাযসে সিংহভাগ টাকা ভাগবাটোয়ারা করে নিয়েছেন। উল্লেখিত ব্যক্তিরাসহ এলাকাবাসী বলেন মজবুত করন প্রকল্পের সড়ক যদি তিন মাসের মধ্যেই ধসে পড়ে তা হলে কাজের মান যে অনিয়ম নিম্নমানের হয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
পাথরঘাটা উপজেলা প্রকৌশলি চন্দন কুমার চক্রবতী বলেন, সড়কটির পাশে মাটি না দেওয়ার কারনে বিভিন্ন যায়গা থেকে ফাটল ধরে ধসে পড়ছে।তিনি বলেন সড়কটির কাজ এখন চলমান তাই ঠিকার সড়কটি ঠিক করে দিবেন। সড়কটির পাশে মাটি দেওয়ার আগে কেন ঢালাই দিলেন জানতে চাইলে তিনি কোন সদোত্তর দিতে পারেননি।
অভিযুক্ত ঠিকাদার মোঃ শাহিন ও শহিদ মৃধা প্রথমে ফোন রাসীভ না করায় এবং পরবর্তীতে ফোনের সুইস বন্ধ করে রাখায় তাদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নী।
এ বিষয়ে বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সুলতানা নাদিরা বলেন ‘সড়ক নির্মাণে অনিয়মের বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে তদন্ত কমিটি গঠন করে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া উপজেলা প্রকৌশলীকে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক মেরামত না করা পর্যন্ত ঠিকাদারকে বিল পরিশোধ না করতে বলা হয়েছে।
এমআর