এইমাত্র
  • হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত কুড়িগ্রামের জনজীবন
  • যে কারণে জামিন পেলেন না চিন্ময় কৃষ্ণ দাস
  • মুন্নী সাহা ও তার স্বামীর সম্পদ অনুসন্ধানে নামছে দুদক
  • ‘জাতীয় কবি’র রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেলেন কাজী নজরুল ইসলাম
  • ৪৩তম বিসিএসে বাদ পড়াদের পুনর্বিবেচনার আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে
  • আওয়ামী দুঃশাসন নিয়ে সিনেমা বানিয়ে হুমকির মুখে তিশা
  • ভারতে বাংলাদেশীদের অনুপ্রবেশে সাহায্য করছে বিএসএফ: মমতা
  • বাংলা‌দেশি-ভারতীয় আটক জেলেদের হস্তান্তর ৫ জানুয়া‌রি
  • খালেদা জিয়া লন্ডন যাচ্ছেন সোমবার
  • নতুন বছরে বুঝেশুনে খেলতে চান অভিনেত্রী ফারিন খান
  • আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ পৌষ, ১৪৩১ | ২ জানুয়ারি, ২০২৫
    বিনোদন

    আমি কখনো কাজের সংখ্যায় বিশ্বাসী নই: কুসুম শিকদার

    বিনোদন প্রতিবেদক প্রকাশ: ৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০৮ পিএম
    বিনোদন প্রতিবেদক প্রকাশ: ৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০৮ পিএম

    আমি কখনো কাজের সংখ্যায় বিশ্বাসী নই: কুসুম শিকদার

    বিনোদন প্রতিবেদক প্রকাশ: ৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০৮ পিএম
    অভিনেত্রী কুসুম শিকদার

    জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী কুসুম শিকদার। ক্যারিয়ারে অল্প কাজ থাকলেও অভিনয় প্রতিভা দিয়ে দ্যুতি ছড়িয়েছেন দর্শকমহলে। অভিনয়ের বাইরে গানও করেন এ তারকা। দীর্ঘ বিরতির পর নতুন পরিচয়ে সিনেমায় ফিরেছেন তিনি। ২০১৭ সালে প্রকাশিত তার লেখা 'অজাগতিক ছায়া' গল্পগ্রন্থ থেকে 'শরতের জবা' গল্পে সিনেমাটি নির্মাণ করে দর্শক প্রশংসা পাচ্ছেন এ অভিনেত্রী। শরতের জবা সিনেমা ও অন্যান্য বিষয়ে কথা বলেছেন সময়ের কণ্ঠস্বর বিনোদনের সঙ্গে।

    এ মূহূর্তে শরতের জবার কী খবর?

    শরতের জবা মুক্তির চতুর্থ সপ্তাহ চলছে। এখনো ব্লক বাস্টারে আছে। হলের পরে আমরা ওটিটিতে যাব। তবে সেটা এখনো পরিকল্পনা হয়নি।


    শরতের জবার পোস্ট প্রডাকশনে দীর্ঘ সময় নিয়েছেন, এটি দেশে করার কারণ কী?

    এক বছর সময় নিয়ে পোস্ট প্রডাকশন করা হয়েছে। সাধারণত সিনেমার পোস্ট প্রডাকশন দেশের বাইরে করা হয়। কিন্তু শরতের জবার পোস্ট প্রডাকশন বাংলাদেশে করার কারণ হচ্ছে, আমি যাতে প্রতিটি কাজে নিজে জড়িত থাকতে পারি। কালার গ্রেডিং, সাউন্ড ডিজাইন, এমনকি ডাবিংও আমি বেশ কয়েকবার করিয়েছি। সবকিছুতেই আমি যেন বসে থেকে করতে পারি এবং সেটাই পেরেছি।

    সিনেমাটি দেখে দর্শক কী বলছেন?

    প্রত্যাশা যা ছিল, তার থেকে আমি বেশি পাচ্ছি। বিভিন্ন বয়সের দর্শক সিনেমাটি পছন্দ করছে, এটা সব সিনেমার ক্ষেত্রে হয় না। দেখা যায়, টিনেজাররা যেটা পছন্দ করে চল্লিশোর্ধ্বরা তা পছন্দ করেন না। কিন্তু আমার সিনেমার ক্ষেত্রে আমি লক্ষ করেছি, সব বয়সের মানুষ এটি দেখছে। অনেক আনন্দিত হয়ে দর্শক এর প্রশংসা করছে। আমি প্রায়ই হলে যাই, নিজেও দর্শকের অনুভূতি দেখি। এখন পর্যন্ত আমার সামনে কোনো খারাপ মন্তব্য পাইনি। সবকিছু মিলিয়ে সিনেমাটি নিয়ে আমি অনেক খুশি।

    শরতের জবার গল্প, প্রযোজনা, চিত্রনাট্য, এমনকি সিনেমাটিতে অভিনয়ও করেছেন, একজন মানুষের পক্ষে এতকিছু কীভাবে সম্ভব?

    শুধু তাই নয়, সিনেমাটির প্রমোশন আমি করছি, হলে ডিস্ট্রিবিউটও আমি করছি। আসলে সবকিছু পর্যায়ক্রমে হয়েছে। একসঙ্গে সব হয়নি। যখন চিত্রনাট্য করেছি, তখন অন্য কিছু করিনি। চিত্রনাট্য শেষ হওয়ার পর শুটিংয়ে গিয়েছি। পরিচালনা, প্রযোজনা, অভিনয় তিনটা একসঙ্গে ছিল। এটা বেশ ভালো চাপ ছিল আমার জন্য। শুটিংয়ে আমার সঙ্গে একটা স্ট্রং টিম ছিল, আবার পোস্ট প্রডাকশনেও আমার সঙ্গে খুব স্ট্রং একটা টিম ছিল। টিমের সহযোগিতায় আমি কাজটি ভালো ভাবেই করতে পেরেছি।

    প্রযোজনা, পরিচালনা, চিত্রনাট্য, ডিস্ট্রিবিউট, প্রমোশনের সবই প্রথমবার করলেন, নতুন কী অভিজ্ঞতা ও চ্যালেঞ্জ ছিল?

    সিনেমা প্রযোজনা বেশ কঠিক কাজ, আমি এর আগে কোনো নাটকেও প্রযোজনা করিনি। তবে চিত্রনাট্য করা কঠিন লাগেনি। কারণ আমি অনেক দিন ধরেই লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত। যেহেতু এটা আমার নিজেরই গল্প, তাই চিত্রনাট্যে বেগ পেতে হয়নি। দীর্ঘদিন পর যেহেতু অভিনয় করেছি, এটা নিয়ে একটু চিন্তিত ছিলাম। সিনেমাটি করার সময় ভালোমন্দ মিলিয়েই অভিজ্ঞতা ছিল। এমন সময় গেছে যে সিনেমাটি ঠিকঠাক মতো শেষ করতে পারব কিনা, এ ধরনের চিন্তা বা চাপ ছিল। অনেক সীমাবদ্ধতা ও বাধা ছিল। এ পর্যন্ত আসতে পেরে আলহামদুলিল্লাহ আমি খুশি।


    খুব অল্প কাজ করে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন, এত গুণী অভিনেত্রী হয়েও আপনার কাজ কম কেন?

    আমি কখনো কাজের সংখ্যায় বিশ্বাসী নই। আমি লাক্স-আনন্দধারা ফটোজেনিক চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম ২০০২ সালে। তখন থেকে এ পর্যন্ত আমার জেনারেশনের আর্টিস্ট যারা, তাদের তুলনায় আমার কাজ সবসময়ই কম। আমি আমার তৃতীয় সিনেমায় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছি। মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার দ্বিতীয় সিনেমায় পেয়েছি। এটা আমার সৌভাগ্য। আমি ছোটবেলা থেকেই সবকিছু বেছে কাজ করতে পছন্দ করতাম।

    বাংলা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে যদি কিছু বলতেন..

    এখন যে সিনেমাগুলো আসছে ভালোই হচ্ছে। কভিডের পর অনেক ভালো সিনেমা হয়েছে। ওটিটিতে ভালো কাজ হচ্ছে। আমাদের আরো বেশি সিনেমা হওয়া উচিত। নতুন সিনেমা হল নির্মাণ করা উচিত এবং বন্ধ হওয়া হলগুলো ধীরে ধীরে খোলা হোক। কাজের সংখ্যা কম, তাই হলও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তিন মাস পর আমার সিনেমা রিলিজ হলো। আমি খুশি যে গণ-অভ্যুত্থানের পর আমার সিনেমাটি দিয়ে দর্শক হলে যাওয়া শুরু করল।


    দীর্ঘ আট বছর পর সিনেমায় নতুন রূপে ফেরা, আবার দেশের এ পরিস্থিতিতে সিনেমা মুক্তি দেয়া, কতটা চ্যালেঞ্জ ছিল?

    এটা সাহসিকতার বিষয় ছিল। আমাকে সবাই বলেছে, এমনকি সিনেমাটি রিলিজের আগেও মিডিয়ার বন্ধুবান্ধব, সাংবাদিক, আরো অনেকে বলেছে রিস্ক নিচ্ছ, আরো পরে মুক্তি দাও। আমি সবাইকে বলেছি যে সেপ্টেম্বর থেকে সবকিছু চলছে। যেকোনো অফিস, হাসপাতাল, স্কুল সবই খোলা, তাহলে কেন শুধু সিনেমা মুক্তি বাকি থাকবে। কেউ মুক্তি দিতে চাচ্ছিল না। এ সাহসিকতা আমি দেখিয়েছি। এটা বলব যে ঈদের সময় যেমন দর্শক থাকে, তেমন না হলেও ভালো দর্শক সাড়া পেয়েছি।

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…