কুড়িগ্রামের উলিপুর গুনাইগাছ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফিরোজ ইমাম আমিনের অপসারণের দাবি তুলেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। গত ৫ নভেম্বর ওই প্রতিষ্ঠানের ৩৪ জন শিক্ষার্থী এবং গত ১১ সেপ্টেম্বর ১৮জন শিক্ষক ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফিরোজ ইমাম আমিনের বিরুদ্ধে শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতিনিয়তই অসদারচণ ও মানসিকভাবে হেনস্থা করাসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়।
শিক্ষকগণ তাঁদের অভিযোগে উল্লেখ করেন, ঐতিহ্যবাহী গুনাইগাছ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফিরোজ ইমাম আমিন আওয়ামী লীগের কর্মী হওয়ায় তৎকালীন ফ্যাসিবাদ সরকারের এমপি, ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাকর্মীকে টাকার বিনিময়ে ভাড়া করে শিক্ষকদের কাছ থেকে জোরপূর্বক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হন। এ ছাড়া গোপনে ম্যানেজিং কমিটি গঠন, আজীবনদাতা সদস্যকে কমিটিতে না রাখা, ২১ লক্ষাধিক টাকার নিয়োগ বাণিজ্য, প্রতিষ্ঠানের দোকানপাট ভাড়া থেকে আয় ও উপবৃত্তি টিউশন ফি আত্মসাৎ, নিজে প্রধান শিক্ষক হওয়ার জন্য গোগনে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রদান, এনটিআরসিএ কর্তৃক নিয়োগকৃত শিক্ষকগণের নিকট উৎকোচ গ্রহণসহ অসংখ্য অনিয়ম ও দুনীতির অভিযোগ তোলা হয়।
অন্যদিকে শিক্ষার্থীরা অভিযোগে উল্লেখ করেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত অসদারচণ করেন। যা শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। বিদ্যালয়টি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে ফিরোজ ইমাম আমিনকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পদ হতে অব্যাহতি দিয়ে একজন সিনিয়র শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব প্রদানসহ জরুরি ভিত্তিতে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় প্রধান শিক্ষককের পদটি পূরণের জন্য জোর দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফিরোজ ইমাম আমিনের মোবাইল নাম্বারে একাধিক বার ফোন দিলে বন্ধ পাওয়া যায়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও গুনাইগাছ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. আতাউর রহমান অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, তদন্ত কার্যক্রম চলমান। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমআর