বাংলাদেশের সামনে ২৩৬ রানের লক্ষ্য একদিনের ক্রিকেটে মোটেও কঠিন কোনো চ্যালেঞ্জ নয়, তবে আফগানিস্তানের স্পিন আক্রমণের সামনে বাংলাদেশের ব্যাটিং একেবারে অসহায় হয়ে পড়েছিল। ১২০ রানে ২ উইকেট থেকে ১৪৩ রানে অলআউট হয়ে টাইগাররা ৯২ রানে পরাজিত হয়েছে।
শুরুটা ভালো হলেও ধ্বসের পরিণতি
রান তাড়ায় বাংলাদেশের শুরুটা মোটামুটি ভালো ছিল। সৌম্য সরকার এবং তরুণ তানজিদ তামিম মিলে উদ্বোধনী জুটিতে ৫৩ রান যোগ করেন। তবে তানজিদ তামিম আল্লাহ মোহাম্মদ গজনফরের ক্যারম বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন ৩ রান করে। তানজিদের ফিরে যাওয়ার পর সৌম্য সরকার নিজের ব্যাটিং দিয়ে দলের ভিত মজবুত করেন। তিনি ৩৩ রান করে ফিরে যান, কিন্তু ততক্ষণে বাংলাদেশে ১২০ রানে পৌঁছে গিয়েছিল, এবং দলটি আত্মবিশ্বাসী ছিল যে তারা সহজেই লক্ষ্য অর্জন করবে।
শান্তর ঝলক, তবে কিছুতেই শেষ রক্ষা হয়নি
বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ৭ মাস পর ওয়ানডে ক্রিকেটে ফিরে নিজের রানের খোঁজ পান। ৬৮ বলে ৪৭ রান করে তিনি দলের হাল ধরেছিলেন। তবে শান্তর ফিরে যাওয়ার পর ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। ১২০ রানে ২ উইকেট থেকে মাত্র ২৩ রান যোগ করতেই বাংলাদেশের ৮ উইকেট হারানো নিশ্চিত হয়।
শান্তর পর মেহেদি হাসান মিরাজ (২৮), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম, রিশাদ হোসেন এবং তাওহিদ হৃদয়রা একে একে দ্রুত ফিরেন। শেষ দিকে তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলামও কিছুই করতে পারেননি।
আফগানিস্তানের স্পিন আক্রমণের সামনে বাংলাদেশের ব্যাটিং ছিল অসহায়
আফগানিস্তান একাই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয় তাদের স্পিন আক্রমণ দিয়ে। আল্লাহ মোহাম্মদ গজনফর ছিলেন মূল অস্ত্র, যিনি ৬ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে ধ্বংস করে দেন। গজনফরের ঘূর্ণিতে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা দুর্বল হয়ে পড়েন এবং ইনিংসটি খুব দ্রুত শেষ হয়ে যায়।
আফগানিস্তানের ব্যাটিং
আফগানিস্তান টস জিতে আগে ব্যাট করে ২৩৫ রানে অলআউট হয়ে যায়। মোহাম্মদ নবী ৮৪ রান করে দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন, এবং শাহিদি ৫০ রান করে সহায়ক ভূমিকা পালন করেন। বাংলাদেশের হয়ে তাসকিন আহমেদ এবং মুস্তাফিজুর রহমান ৪টি করে উইকেট শিকার করেন, তবে তাদের প্রয়াসের পরও বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের ধস আটকানো যায়নি।
বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের দুর্বলতা স্পষ্ট
বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন-আপে স্পষ্ট দুর্বলতা প্রকাশিত হলো, বিশেষ করে আফগান স্পিন আক্রমণের বিরুদ্ধে। ২৩৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে বাংলাদেশ যখন ১২০ রানে ২ উইকেট নিয়ে ভালো অবস্থানে ছিল, তখনো তারা বড় ধাক্কা খায়। শান্ত এবং সৌম্য সরকারের ভালো ব্যাটিংয়ের পরও সঙ্গী সাথীদের ব্যর্থতায় দলটি শেষ পর্যন্ত ১৪৩ রানে অলআউট হয়ে যায়।
পরবর্তী ম্যাচে বাংলাদেশের সম্ভাবনা
এই পরাজয়ের পর বাংলাদেশকে নিজেদের ব্যাটিং লাইন-আপকে আরও শক্তিশালী করতে হবে, বিশেষ করে স্পিন মোকাবিলায় আরও ভালো প্রস্তুতি নিতে হবে। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে পরবর্তী ম্যাচে বাংলাদেশকে যে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে, তা নিশ্চিত।
স্কোর:
আফগানিস্তান**: ২৩৫/৮ (৪৯.৪ ওভার)
বাংলাদেশ**: ১৪৩/১০ (৩৪.৩ ওভার)
আফগানিস্তান জয়ী: ৯২ রানে**
এসএফ