আগামী পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় ১১ ধরনের পণ্য আমদানি সহজ করতে বিশেষ সুবিধা দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে ব্যবসায়ীরা এসব পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ঋণপত্র বা এলসির মার্জিন ব্যাংকের সঙ্গে কথা বলে ন্যূনতম পর্যায়ে কমাতে পারবেন।
বুধবার (৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ (বিআরপিডি) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ব্যবসায়ীরা এ সুবিধা পাবেন।
এতে আরও বলা হয়, রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু ভোগ্যপণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আমদানি সহজ করার মাধ্যমে এসব পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখার উদ্দেশ্যে এ সুবিধা দেয়া হয়েছে।
যেসব পণ্যের জন্য এলসি মার্জিন শিথিল করা হয়েছে সেগুলো হলো- চাল, গম, পেঁয়াজ, ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি, ডিম, ছোলা, মটর, মসলা ও খেজুর। এই ১১টি পণ্য আমদানির জন্য ঋণপত্র খোলার ক্ষেত্রে নগদ মার্জিনের হার ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ন্যূনতম পর্যায়ে রাখার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই নির্দেশনা ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, অভ্যন্তরীণ বাজারে উল্লিখিত পণ্যগুলোর সরবরাহ নিশ্চিত করতে আমদানি ঋণপত্র স্থাপনে অগ্রাধিকার দিতে পরামর্শ দেওয়া হলো।
ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১–এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে, যা অবিলম্বে কার্যকর হবে।
খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, এলসি মার্জিন শিথিল করার কারণে আমদানিকারকদের নগদ টাকা কম লাগবে। এতে আমদানি খরচও কম হবে। ফলে এই সুবিধার কারণে বাজারে এসব পণ্যের দাম কিছুটা হলেও কমার কথা। পাশাপাশি আমদানিকারকরাও আগ্রহ দেখাবে।
এইচএ