আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুকে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে গ্রেফতারের পর বৃহস্পতিবার ৭ নভেম্বর ঢাকা চীফজুডিসিয়াল মেট্রো পলিটন আদালতে হাজির করা হয়। পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত আমুর ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।
এর পরপরই ঝালকাঠি জেলা আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট রুহুল আমিন রিজভী দ্বিতীয় দিনের মতো মিষ্টি বিতরন করেন। এর আগে আমুর গ্রেফতারের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বিএনপি, অঙ্গ সংগঠন, সাধারন জনতা বিভিন্ন স্থানে মিষ্টি বিতরন করেছেন। সেদিনও আওয়ামীলীগের রিজভীকে অনেক জায়গায় মিষ্টি পাঠাতে দেখা যায়। দলীয় সেচ্ছাচারিতা, নির্যাতন, হয়রানী, নেতাকর্মীদের সাথে হিংস্র আচরনের কারনেই শোচনীয় পরাজয়ের পর আমুর নিজ দলীয় নেতা-কর্মীরা মিষ্টি বিতরনসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমুর বিরুদ্ধে পোষ্ট দিচ্ছে।
এ থেকেই প্রমান করে আমির হোসেন আমু কতটা সার্থান্নেসী ও জুলুমবাজ ছিলেন। জেলা আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক রুহুল আমিন রিজভী গনমাধ্যমকে ক্ষুদে বার্তায় জানান, চার বছর আগে ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসের একই তারিখে আমাকেও আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছিলো আমুর নির্দেশে দেয়া আইসিটি মামলায়। আমাকে রিমান্ডে নিয়ে আমুর নির্দেশে নির্যাতন করা হয়েছিলো। সেই নির্যাতনের পর আমি এখনো পুরোপুরি সুস্থ নয়।
আজ আমুর নিজের একই অবস্থা। আল্লাহ ছাড় দেয় কিন্তু ছেড়ে দেয় না। জুলুমের বিচার দুনিয়াতেই দেখিয়ে দেয়। আর ওনার মতো (আমু) রক্তচোষা নেতার এমন দশা দেখানোর জন্যই আল্লাহ আমাকে বাচিয়ে রেখেছে।
এসএফ