এইমাত্র
  • হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত কুড়িগ্রামের জনজীবন
  • যে কারণে জামিন পেলেন না চিন্ময় কৃষ্ণ দাস
  • মুন্নী সাহা ও তার স্বামীর সম্পদ অনুসন্ধানে নামছে দুদক
  • ‘জাতীয় কবি’র রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেলেন কাজী নজরুল ইসলাম
  • ৪৩তম বিসিএসে বাদ পড়াদের পুনর্বিবেচনার আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে
  • আওয়ামী দুঃশাসন নিয়ে সিনেমা বানিয়ে হুমকির মুখে তিশা
  • ভারতে বাংলাদেশীদের অনুপ্রবেশে সাহায্য করছে বিএসএফ: মমতা
  • বাংলা‌দেশি-ভারতীয় আটক জেলেদের হস্তান্তর ৫ জানুয়া‌রি
  • খালেদা জিয়া লন্ডন যাচ্ছেন সোমবার
  • নতুন বছরে বুঝেশুনে খেলতে চান অভিনেত্রী ফারিন খান
  • আজ শুক্রবার, ১৯ পৌষ, ১৪৩১ | ৩ জানুয়ারি, ২০২৫
    অর্থ-বাণিজ্য

    অক্টোবরে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০ শতাংশ ছাড়াল

    সময়ের কণ্ঠস্বর রিপোর্ট প্রকাশ: ৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪১ পিএম
    সময়ের কণ্ঠস্বর রিপোর্ট প্রকাশ: ৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪১ পিএম

    অক্টোবরে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০ শতাংশ ছাড়াল

    সময়ের কণ্ঠস্বর রিপোর্ট প্রকাশ: ৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪১ পিএম

    বাংলাদেশে চলতি বছরের অক্টোবর মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশে পৌঁছেছে, যা সেপ্টেম্বর মাসে ছিল ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। অর্থাৎ, এক মাসে মূল্যস্ফীতির হার প্রায় ১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

    বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) কর্তৃক প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, অক্টোবর মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসে এ হার ছিল ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ। অর্থাৎ, খাদ্যপণ্যগুলোর দাম বৃদ্ধি পেয়ে সাধারণ মানুষের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে।

    এছাড়া, খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতির হার অক্টোবরে ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা সেপ্টেম্বর মাসে ছিল ৯ দশমিক ৫ শতাংশ। অর্থাৎ, এসব পণ্যের দাম কিছুটা কমলেও তা নিম্নস্তরের জনগণের জন্য খুবই সামান্য উন্নতি বয়ে এনেছে।

    বিশ্লেষকদের মতে, আগস্ট মাসে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশে ছিল, কিন্তু সেপ্টেম্বর মাসে কিছুটা কমে আসার পর অক্টোবরে তা আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষত, খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য অত্যন্ত দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    গত জুলাই মাসে দেশের মূল্যস্ফীতি ছিল ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ, যা গত ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল। এরপর থেকে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমলেও তা এখন আবার ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছে।

    এদিকে, প্রায় দুই বছর ধরে ক্রমবর্ধমান উচ্চ মূল্যস্ফীতির সঙ্গে লড়াই করে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ২০২৩ সালের মার্চ মাস থেকে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ওপর থাকায়, বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। খুচরা বাজারে খাদ্যপণ্য, জ্বালানি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের জীবনযাত্রার মানে অবনতির আশঙ্কা রয়েছে।

    অর্থনীতিবিদরা বলছেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকারকে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে, বিশেষ করে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমানোর জন্য এবং বাজারের দাম স্থিতিশীল রাখতে আরও নজর দিতে হবে।

    মূল্যস্ফীতির প্রভাব

    অক্টোবর মাসে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির প্রভাব সাধারণ জনগণের উপর পড়েছে। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য খাদ্যপণ্যের দাম বাড়া মানে তাদের জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়া। এর ফলে অর্থনৈতিক সমতা এবং সামাজিক নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

    দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পথে, বিশেষত বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং স্থানীয় কৃষি সংকটের কারণে, মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি বা স্থিতিশীলতা আনতে সময়সাপেক্ষ পদক্ষেপের প্রয়োজন।

    ভবিষ্যৎ পরিপ্রেক্ষিত

    বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং দেশীয় উৎপাদন খাতের সমস্যার কারণে মূল্যস্ফীতি কমানোর কোনো আশাপ্রদ লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এদিকে, খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের কাছে বিশেষভাবে কষ্টকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বাজার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল করতে সহায়ক হতে পারে।

    তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…