এইমাত্র
  • টাঙ্গাইলে বেড়েছে শীতের তীব্রতা, জুবথুব জনজীবন
  • হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত কুড়িগ্রামের জনজীবন
  • যে কারণে জামিন পেলেন না চিন্ময় কৃষ্ণ দাস
  • মুন্নী সাহা ও তার স্বামীর সম্পদ অনুসন্ধানে নামছে দুদক
  • ‘জাতীয় কবি’র রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেলেন কাজী নজরুল ইসলাম
  • ৪৩তম বিসিএসে বাদ পড়াদের পুনর্বিবেচনার আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে
  • আওয়ামী দুঃশাসন নিয়ে সিনেমা বানিয়ে হুমকির মুখে তিশা
  • ভারতে বাংলাদেশীদের অনুপ্রবেশে সাহায্য করছে বিএসএফ: মমতা
  • বাংলা‌দেশি-ভারতীয় আটক জেলেদের হস্তান্তর ৫ জানুয়া‌রি
  • খালেদা জিয়া লন্ডন যাচ্ছেন সোমবার
  • আজ শুক্রবার, ২০ পৌষ, ১৪৩১ | ৩ জানুয়ারি, ২০২৫
    রাজনীতি

    আ.লীগের নেতৃত্ব দিতে যে শর্ত দিলেন সোহেল তাজ

    সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ এএম
    সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ এএম

    আ.লীগের নেতৃত্ব দিতে যে শর্ত দিলেন সোহেল তাজ

    সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ এএম

    গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। সেই সাথে পালিয়ে গেছেন আওয়ামী লীগের টানা তিনবারের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল-আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমসহ সম্পাদক পদের নেতারা। এ অবস্থায় নেতৃত্ব সংকটে ভুগছে টানা সাড়ে ১৫ বছরের বেশি ক্ষমতায় থাকা দলটি।

    ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগের হাল ধরেছিলেন দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের স্ত্রী জোহরা তাজউদ্দীন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে তাদের ছেলে তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ কি একই কাজ করবেন? কী ভাবছেন তিনি?

    এ প্রশ্নের উত্তরে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে বেশ কয়েকটি শর্ত দিয়েছেন শেখ হাসিনার সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ।

    সোহেল তাজ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের দায়িত্ব তখনই নেওয়ার প্রশ্ন আসবে, আওয়ামী লীগ সংগঠন হিসেবে যখন আত্মসমালোচনা করবে এবং আত্মোপলব্ধি করবে, তাদের কর্মকাণ্ডগুলো স্বীকার করবে এবং যারা আওয়ামী লীগকে এই পথে নেতৃত্ব দিয়ে ধ্বংসের পথে নিয়ে গিয়েছে তাদেরকে জবাবদিহি করবে, যারা হত্যা, খুন, গুমের সাথে জড়িত, দুর্নীতির সাথে জড়িত, তাদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তি দেবে এবং আওয়ামী লীগ যখন ক্লিন হবে, তারপরে যদি তারা চায় নেতৃত্ব, আমি বিবেচনা করব।’

    অন্যদিকে তাজউদ্দীন আহমেদের কন্যা শারমিন আহমেদ বলেছেন, তরুণরা মানুষের সেবা করতে চাইলে তাদের পাশে থাকবেন তিনি।

    শনিবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে ‘শতাব্দীর কন্ঠস্বর তাজউদ্দীন আহমদ, কন্যার চোখে পুত্রের চোখে’— শীর্ষক আলোচনা সভায় তাজউদ্দীন আহমেদের সন্তানরা এ সব কথা বলেন।

    সোহেল তাজ বলেন, ‘আপনি যে হাতিয়ারকে ব্যবহার করবেন দুর্নীতি-অনিয়মের বিরুদ্ধে, সেই হাতিয়ারই যদি দুর্নীতিগ্রস্ত হয় তাহলে আপনি কিন্তু কোনোদিনই কামিয়াব হবেন না আপনার উদ্দেশ্যে। আমি খুব উৎসাহ-উদ্দীপনা, ইন্সপিয়ারেশন-ইন্সপায়ার্ড হয়ে সে কাজে হাত দিয়েছিলাম। কিন্তু আমার কাছে ছয় মাসের ভেতর প্রতীয়মান হয় যে আমরা সেদিকে যাচ্ছি না। আমরা জাতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছি। এটার অনেকগুলো কারণ আছে। কারণ মর্নিং শোজ দ্যা ডে। আমরা যদি আসলেই সেই কাজগুলো করতাম, তাহলে প্রথম সপ্তাহ থেকে আমরা পদক্ষেপ দেখতে পারতাম।’

    সোহেল তাজ বলেন, ‘আমি যখন পদক্ষেপ নিতে চেয়েছি, আমাকে বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে। আমি পুলিশে সংস্কার করতে চেয়েছিলাম, বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে চেয়েছিলাম। দুর্নীতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে চেয়েছিলাম, বাধাগ্রস্ত হয়েছি। অনিয়মের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে চেয়েছিলাম, বাধাগ্রস্ত হয়েছি। আমার কাছে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে আমরা বিশ্বাসঘাতকতা করেছি। আমি নিজেকে বিশ্বাসঘাতক হিসেবে এই মন্ত্রীর মসনদে বসে থাকতে চাইনি। আমার প্রতিবাদের ভাষা ছিল পদত্যাগ। বাংলাদেশের ইতিহাসে পদত্যাগ কেউ করে না। আমি ভেবেছিলাম আমার পদত্যাগের মাধ্যমে আমি একটি ক্লিয়ার মেসেজ দিব যে আমি এটা মেনে নেইনি।’

    সোহেল তাজ আরও বলেন, ক্ষমতার প্রতি আমার মোহ নাই, আমাদের পরিবার সবসময় গণমানুষের সেবায় বিশ্বাসী। আমার বাবার একটা গুণাবলী ছিল ভালো জিনিস শেখা, আর সেটা প্রয়োজন হলে শত্রুর কাছ থেকে হলেও শেখা। নীতি ও আদর্শ যাই থাকুক উনি সবার কাছ থেকে ভালো কিছু শেখার চেষ্টা করতেন। তিনি যে মাপের নেতা ছিলেন সেটা আর কারো মধ্যে খুব একটা লক্ষ্য করা যায়নি। তার নেতৃত্বের অনেক গুণাবলি ছিল, তিনি বিচক্ষণ ছিলেন। মানুষকে আপন করে নেওয়া, মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের দূরদর্শিতা তার মধ্যে অনেক বেশি ছিল।

    আওয়ামী লীগের কাউন্সিল মিটিংগুলোতে বারংবার তাজউদ্দীন আহমেদ বিভিন্ন ইস্যুতে প্রতিবাদ করেছেন বলেও জানান তিনি। তার বাবা দুর্নীতি ও ব্যবস্থাপনা ও দলীয় দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলেছেন।

    সোহেল তাজ জানান, বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হওয়ার পর তাজউদ্দীন আহমেদকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, সবাই আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে গিয়েছিল তুমি কেন যাওনি? তখন তিনি বলেছিলেন আমি পাকিস্তানকে বাঁচানোর জন্যই আন্ডারগ্রাউন্ডে যাইনি।

    প্রসঙ্গত, ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) আসন থেকে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সোহেল তাজ। ২০০৮ সালে একই আসন থেকে দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হন তিনি। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান সোহেল তাজ। তবে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে একই বছরের ৩১ মে মন্ত্রিসভা থেকে তিনি পদত্যাগ করেন। ২০১২ সালের ২৩ এপ্রিল সংসদ সদস্য পদ থেকেও পদত্যাগ করেন তিনি। সে সময় তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা না হলেও একই বছর ৭ জুলাই তিনি আবার পদত্যাগপত্র দিলে সেটি গ্রহণ করা হয়।

    এবি

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…