শরীয়তপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক নারীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ডামুড্যা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রুবেল মাদবরের ছোটভাই সাজ্জাদ হোসেন কাজল মাদবরের বিরুদ্ধে।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) ডামুড্যা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় ভেঙে ফেলা হায়েছে নির্মাণাধীন সীমানা প্রাচীর।
এই ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) ভুক্তভোগী নারী ছামিয়া আক্তার আয়েশা (৩৭) ডামুড্যা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ডামুড্যা থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ডামুড্যা পৌরসভার বাসিন্দা আয়েশার স্বামী মনির বেপারী একজন ইতালি প্রবাসী। তিনি আর তার স্বামী মিলে কয়েক বছর আগে পাঁচ শতাংশ জমি কেনেন। তার পাশেই রয়েছে ডামুড্যা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রুবেল মাদবর এর জমি। বেশ কয়েক বছর যাবত রুবেল মাদবরের সাথে ছামিয়া আক্তারের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে।
গত বুধবার ছামিয়া তার জমিতে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ শুরু করেন। পরে রুবেলের ছোট ভাই কাজল কাজ জোরপূর্বক বন্ধ করে দেয়। ভুক্তভোগীর অভিযোগ, ঘটনার সময় জোরপূর্বক একটি ঘরের মধ্যে ঢুকিয়ে ভুক্তভোগী নারী ছামিয়াকে মারধর করে এবং স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেয়ার মাধ্যমে শীলতাহানির চেষ্টা করে আটকে রাখে। পরে ভুক্তভোগী নারীর ভাই আছাদ মিয়া খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তার বোন ছামিয়াকে উদ্ধার করে।
ভুক্তভোগী ছামিয়া আক্তার আয়েশা (৩৭) বলেন, অনেক কষ্টের টাকায় তিল তিল করে টাকা জমিয়ে এই জমিটুকু কিনেছি। কিন্তু রুবেল মাদবরের ছোট ভাই আজকে আমার সাথে যে ধরনের আচরণ করেছে মনে হয় আমি আত্মহত্যা করি। একটি ঘরের মধ্যে ঢুকিয়ে কাজল মাদবর তার সহযোগীদের নিয়ে আমার শরীরের স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দিয়েছে। এখনো চোখ বন্ধ করলে সেই ভয়ংকর দৃশ্য দেখতে পাই। এ ঘটনার আমি বিচার চাই।
কাজল মাদুর বলেন, আমি একজন আইনজীবী মানুষ আমি এরকম অপরাধ করতে পারি না, আমি কারো গায়ে হাত দেইনি। আমি কোর্ট শেষ করে বাড়ি যাওয়ার পথে দেখি তারা কাজ করতাছে তখন তাদের জিজ্ঞেস করলে কথা কাটাকাটি হয়। আমার ভাইয়েরা আওয়ামী ও ছাত্রলীগের সাথে জড়িত তাই আমাকেও রাজনৈতিক ঝামেলার জড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
ডামুড্যা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান জানান, ছামিয়া আক্তার আয়েশা নামে এক নারী মৌখিকভাবে আমাদেরকে জানিয়েছেন কাজল কাজল মাদবর নামে একজন তার নির্মানাধীন সীমানা প্রাচীর ভেঙে দিয়েছে এবং তাকে মারধর করেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য যে, জানুয়ারি মাসে ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নুসরাত জাহান তন্বী নামে এক নারী ডাক্তারকে লাঞ্ছিত ও মারধরের অভিযোগে জেল খাটেন কাজল মাদবরের ভাই ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রুবেল মাদবর ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা জুলহাস মাদবর।
এইচএ