পিরোজপুরের নাজিরপুরে সাবেক দুই উপজেলা চেয়ারম্যান সহ দুই শত আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীর নামে বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে ও একই দিন দুপুরে ওই মামলা দুটি দায়ের করা হয়।
দায়ের হওয়া মামলার একটিতে উপজেলা যুবদলের নেতা মো. এনামূল হক লিটন শেখ বাদী হয়ে ২২ জনকে নামীয় এবং ১৫ জনকে অজ্ঞাত করে এবং অন্যটিতে যুবদল নেতা রিয়াজ হোসেন শেখ বাদী হয়ে ২৫ জনকে নামীয় এবং ১৫০ জনকে অজ্ঞত করে ওই মামলা দুটি দায়ের করা হয়।
মামলা দুটির উল্লেখ যোগ্য আসামীরা হলেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম মোশারেফ হোসেন খান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম নুরে আলম সিদ্দিকী শাহীন, মালিখালী ইউপি চেয়ারম্যান মো. রুহুল আমীন দাড়িয়া, শেখমাটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান চৌধুরী নান্নু, শাঁখারীকাঠী ইউপি চেয়ারম্যান মো. খালিদ হোসেন সজল, ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান খালিদ হোসেন সজল, শ্রীরামকাঠী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান উত্তম কুমার মৈত্র, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এম খোকন কাজী, সাধারন সম্পাদক চঞ্চল কান্তি বিশ্বাস, যুবলীগ নেতা মো. শামিম খান, উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নজরুল ইসলাম বাবুল, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. তরিকুল ইসলাম চৌধুরী তাপস, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদক মো. আল আমীন খান প্রমুখ।
মামলার একটিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২০২৩ সালের ৮ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টার দিকে জেলা যুবদলের নতুন কমিটির নেতা-কর্মীরা গাড়ি বহর দিয়ে ঢাকা থেকে পিরোজপুরে যাওয়ার কালে নাজিরপুরে উপজেলা সদরের হাসপাতাল সংলগ্ন সাবেক মন্ত্রী শ.ম রেজাউল করিমের বাসার সামনে এলে তাদের উপর বোমা হামলা ও গুলি করা হয়। এতে তাদের ৪০-৫০ জন নেতা-কর্মী আহত সহ তাদের গাড়ি ভাংচুর ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়া হয়। এতে তাদের প্রায় ৪৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। এ ছাড়া অন্যটিতে গত ২০১৩ সালের ২৭ অক্টোবর উপজেলা সদরের হরি মন্দির সংলগ্ন রাস্তায় মামলার বাদী এনামুল হক লিটন সহ দলীয় নেতা-কর্মীরা দলীয় কর্মসূচী পালনের উদ্দেশ্যে নাজিরপুরে আসার কালে তাদের উপর অভিযুক্তরা বোমা হামলা সহ মারধর করে।
নাজিরপুর থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মো: মাহমুদ আল ফরিদ ভুঁইয়া বলেন, অভিযুক্তদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
এমআর