এইমাত্র
  • ভালুকায় মহাসড়কের পাশ থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
  • বান্দরবানে বন্দুকযুদ্ধে ৩ কেএনএ সন্ত্রাসী নিহত
  • রিমান্ড শেষে কারাগারে ব্যারিস্টার সুমন
  • ৪ বিসিএসে নিয়োগ পাবে ১৮ হাজার ১৪৯ জন
  • নোয়াখালীতে শীতার্তদের সহযোগিতায় এগিয়ে এল এনজিও 'আশা'
  • শাকিবের সিনেমায় 'আইটেম গার্ল' নুসরত জাহান
  • সরিষাবাড়ীতে আলহাজ্ব জুট মিল চালুর দাবিতে মানববন্ধন
  • চকরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
  • নারায়ণগঞ্জে এয়ার ফ্রেশনার রিফিলের সময় বিস্ফোরণ, দগ্ধ ১০
  • লেবাননজুড়ে ইসরায়েলি বর্বরতায় নিহত আরও ৩৩
  • আজ রবিবার, ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৪ নভেম্বর, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    মাগুরায় চলছে ক্ষতিকর ছাই ফ্যাক্টরি, তথ্য নেই ইউএনও'র কাছে

    মতিন রহমান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, মাগুরা প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৬ পিএম
    মতিন রহমান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, মাগুরা প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৬ পিএম

    মাগুরায় চলছে ক্ষতিকর ছাই ফ্যাক্টরি, তথ্য নেই ইউএনও'র কাছে

    মতিন রহমান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, মাগুরা প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৬ পিএম

    মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার রুইজানি গ্রামে দীর্ঘদিন আগে গড়ে উঠেছে একটি ছাই ফ্যাক্টরি। যেখানে পাঠকাঠি পুড়িয়ে তৈরি করা হচ্ছে ছাই। এসব ছাই বস্তাভর্তি করে পাঠানো হচ্ছে বিভিন্ন প্রান্তে। ছাই উৎপাদনের কারণে এলাকার মানুষের স্বাস্থ্যগত নানান রকম সমস্যা হচ্ছে। এছাড়াও পরিবেশের ভারসাম্যের বিভিন্ন সমস্যা ও ফসলি জমির ক্ষতি হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা।

    সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মধুমতি নদীর পাড়ে ফসলি জমির পাশে জায়গা জুড়ে গড়ে উঠেছে এই ফ্যাক্টরি। তবে কোনো কম্পানি বা ফ্যাক্টরির নামের সাইনবোর্ড দেখা যায়নি সেখানে। পোড়ানোর জন্য পাটকাঠির বড় বড় স্তুপ রাখা হয়েছে ভিতরে। ফ্যাক্টরির বাইরের প্রাচীর গেইটে তালা ঝুলিয়ে ভিতরে কাজ করছে শ্রমিকরা। খোঁজ নিয়ে জানা যায় এসব শ্রমিকেরা জেলার বাইরে থেকে এসে এখানে কাজ করছেন।

    শ্রমিকরা জানান, বহিরাগতদের ভিতরে যাবার অনুমতি নেই, এটা এই ফ্যাক্টরির কর্তৃপক্ষের নির্দেশ। এজন্য গেইটে তালা লাগিয়ে রাখা হয়। এলাকার আশেপাশে ও বিভিন্ন জেলা থেকে পাঠকাঠি সরবরাহ করে কারখানায় পোড়ানো হয়। ছাই উৎপাদন করে কোথায় পাঠানো হয় তা তারা জানেন না। এই ফ্যাক্টরির মালিক কারা তাও জানা যায়নি এবং শ্রমিকরাও বলতে রাজি হননি। তবে জেলার বাইরের লোকজন এসে এই ফ্যাক্টরি করে ব্যবসা করছেন বলে জানা গেছে। এসব বিষয়ে ফ্যাক্টরির দায়িত্বে থাকা লোকেদের সঙ্গে কয়েকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

    এদিকে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, এলাকার বাইরে থেকে শ্রমিক এনে এই কারখানায় কাজ করানো হয়। রুইজানি গ্রামে ৭/৮ বছর আগে গড়ে উঠেছে এই ছাই ফ্যাক্টরি। এখান থেকে ছাই উৎপাদনের কারণে ছেলেমেয়েরা হাঁচি ও কাঁশিতে ভুগছে। শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো লেখাপড়া করতে পারছে না। শিশুদের চোঁখ জ্বালাপোড়া করে। ছাই এর ধোঁয়ায় তারা অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছেন। এছাড়াও ছাইকলের কারণে ফসলি জমিতে ফসল উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে, গাছপালা ঠিকমতো বেড়ে উঠছে না। তাই এই ধরনের ফ্যাক্টরি দ্রুত অপসার‌নের দাবি জানান এলাকাবাসী।

    মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পলাশ কুমার মন্ডল জানান, এই ধরনের কোনো ফ্যাক্টরি মহম্মদপুরে আছে এটা তিনি জানেন না। প্রতিবেদকের মাধ্যমেই তিনি এই প্রথম শুনেছেন। এবিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে দেখা হবে এটি কতটা পরিসরে তারা করছে। এছাড়াও পরিবেশ ও স্বাস্থ্যগত কতটা ঝুঁকির কারণ রয়েছে। পরবর্তীতে যেসব ব্যবস্থা রয়েছে তা নেওয়া হবে। যদি পরিবেশগত ছাড়পত্রের প্রয়োজন হয় তবে তারা সেটি নিয়েছে কিনা দেখা হবে বলে জানান তিনি।

    এসব এবিষয়ে এলাকার সচেতন মহল বলছে, মহম্মদপুর সদর থেকে অর্থ্যাৎ ইউএনও অফিস থেকে মাত্র ৩/৪ কিলোমিটার দূরে গড়ে উঠেছে এই ফ্যাক্টরি। বর্তমান ইউএনও পলাশ মন্ডল আগস্টের প্রায় ৬ মাস আগে থেকে মহম্মদপুরে কর্মরত আছেন। অফিসের নাকের ডগায় চলছে এই ফ্যাক্টরির কার্যক্রম তবুও তিনি এবিষয়ে কিছুই জানেন না। এটা খুবই দুঃখজনক। কর্তৃপক্ষ দ্রুত এই ছাই ফ্যাক্টরি তদারকি করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে এমনটাই দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

    এইচএ

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    Loading…