আনিকুল ইসলাম জিসান, রাকিবুল হক রাফি, আজাদ আব্দুল্লাহ, মহিউদ্দিন ইসলাম মাহিম, মো. তারেক ও মাজহার সিফাত। তাঁরা ৬ বন্ধু পড়াশোনার পাশাপাশি ড্রোন ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফি করে আয় করছেন। তাদের বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায়।
শুরুটা যেভাবে
ছোটবেলা থেকেই ভিডিও বানানোর শখ ছিল তাদের। বন্ধুদের নিয়ে ভ্রমণের মুহূর্তগুলো ভিডিও আকারে আফলোড দিয়ে স্মৃতি হিসেবে রাখার জন্য ট্রাভেল রিফ্লেকশন নামে একটি ফেসবুক পেজ খুলেন। ২০২১ সালে সাহস করে নিজেদের ভিডিও বানিয়ে তা আফলোড করা শুরু করলেও নানা প্রতিকূলতার কারণে থেমে যেতে বাধ্য হন। তবে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে তারা পুরোদমে ড্রোন ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফিতে মনোনিবেশ করেন।
আনিকুল ইসলাম জিসান বলেন, ‘সময়টা ২০২১ সাল, অতিমারি করোনার থাবা তখনও শেষ হয়নি। তখন আমরা এসএসসি পরীক্ষা শেষ করেছি। আমার অনেকদিনের শখ ছিল একটা ড্রোন নেওয়ার, কিন্তু স্টুডেন্ট হওয়াতে একার পক্ষে সম্ভব ছিল না। এক পড়ন্ত বিকালে আমরা তিন বন্ধু একসাথে ড্রোনের বিষয়ে কথা বলি। তখন আমরা ড্রোন নিয়েই একটা ছোটখাটো ব্যবসায়িক চিন্তা করি। সময়টাতে সাতকানিয়ায় তেমন একটা ড্রোন অপারেটর না থাকায় চাহিদা থাকলেও পূরণের সুযোগ ছিল না। এরপর আমরা আমাদের আরও তিনজন বন্ধুকে আমাদের এ পরিকল্পনা সর্ম্পকে বলি। তারা আমাদের সাথে একমত পোষণ করাতে আমাদের ড্রোন ক্রয় করার কার্যক্রম এক সপ্তাহের মধ্যে সম্পন্ন করি। আমরা ছয়জন মিলে পুরোপুরি কার্যক্রম শুরু করি। তখন আমরা ড্রোন ভিডিওগ্রাফি ও এরিয়াল ফটোগ্রাফি সাথে যেকোনো ধরনের ডকুমেন্টারি, সিনেমাটোগ্রাফি এবং ফটোগ্রাফি সেবা দিতাম।’
জিসান আরো বলেন, ‘২০২১ সালের শেষের দিকে আমাদের কার্যক্রম কিছুটা থমকে যায়। কারণ ছিল আমাদের সবার একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হতে থাকে, তখন সবাই সেদিকে ব্যস্ত হয়ে যায়। তখনও আমরা গ্রাহকদের সেবা দিয়ে আসছিলাম। সে সময় আমিসহ আমাদের চারজনের একাডেমি কার্যক্রম শুরু হওয়ায় শহরে চলে আসি। রাফি আর আজাদ ওরা দুজন মিলে কাজ চালিয়ে যায়। যখন তারা দুজনই তাদের নিজেদের কাজে ব্যস্ত হয়ে যায় তখন আমাদের কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।’
তিনি বলেন, আমাদের কার্যক্রমটা ছিল সাতকানিয়া এরিয়ার মধ্যে তারপরও আমরা বাইরের এলাকায়ও কাজ করতাম। বর্তমানে ২০২৪ সালে এসে আমরা ৬ জন বন্ধু আবারও সিদ্ধান্ত নিলাম যে আমাদের কার্যক্রম আবার শুরু করব। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে আমাদের কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়।
আনিকুল ইসলাম জিসান বিশ্বাস করেন, যারা হাল না ছেড়ে নিয়মিত কাজ করে, তারা একদিন সফল হবে। তাদের ভবিষ্যৎ ইচ্ছা ভালো কিছু কাজ উপহার দেওয়া। নিজেদের প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সাতকানিয়ার বিভিন্ন ভ্রমণ স্পট এবং যেই লুকায়িত সৌন্দর্য সেটি দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে দেওয়া।
এমআর