যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা (জিএসপি) ফিরে পাওয়ার আশা ব্যক্ত করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি বলেন, দেশের শ্রম অধিকার সংক্রান্ত বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করতে পারলে আমরা অবশ্যই জিএসপি সুবিধা পাব।
আজ রোববার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। আন্তর্জাতিক শ্রমবিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বিশেষ প্রতিনিধি কেলি এম. ফে রদ্রিগেজ ২০ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। এ সময় বাণিজ্য সচিব মো. সেলিম উদ্দিন, ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের উপপপ্রধান মেগান বোল্ডিংসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, শ্রম অধিকার সংক্রান্ত নীতিমালা আরও যুগোপযোগী করাসহ শ্রমিকের অধিকার নিয়ে আমরা যে ১১ দফা কর্মসূচি আছে সেটা বাস্তবায়নে বিশদ আলোচনা করেছি। ১১ দফায় কি আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জিএসপি সুবিধা পেতে গেলে শ্রমিক অধিকার বিষয়ক বিধিগুলো (আই. এল. ও কনভেনশন, দেশের প্রচলিত শ্রম ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক আইন, ক্রেতার আচরণবিধি, কোম্পানির নিজস্ব নিয়ম-কানুন) বাস্তবায়ন করতে হবে। সেটা করতে পারলে অবশ্যই জিএসপি সুবিধা পাওয়া যাবে।
এ সময় বাণিজ্য সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন বলেন, শ্রমিকের জীবন-যাপন, মানোন্নয়ন এবং ইউনিয়ন কার্যক্রম নিয়ে কাজ হচ্ছে। মার্কিন প্রতিনিধিরা নিয়মিত পর্যবেক্ষণের অংশ হিসেবে এখানে এসেছে। কীভাবে বাণিজ্য বাড়ানো যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের শুল্ক মুক্ত বাজার সুবিধা বাড়ানোর কথা বলেছি। তারা এ বিষয়ে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে জানিয়েছে। একই সঙ্গে সফররত মার্কিন প্রতিনিধিরা শ্রমিকদের অধিকার সংক্রান্ত ইস্যু, নিরাপত্তা, ন্যূনতম মজুরিসহ অন্যান্য বিষয়ে নজর দিতে বলেছে।
বাণিজ্য সচিব বলেন, বর্তমান সরকার অনেক সংস্কার কাজে হাত দিয়েছে। শ্রম খাতেও সংস্কারের করার জন্য আলাদা একটি টিম কাজ করছে। শ্রম, পররাষ্ট্র, বাণিজ্য, অর্থ ও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়সহ সবাই সমন্বিতভাবে কাজ করছে।
তৈরিপোশাক খাতের অস্থিরতা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে সচিব বলেন, এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। তবে এ খাতের আরও কীভাবে মানোন্নয়ন করা যায়, সেক্ষেত্রে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
আমেরিকার বাজারে এখন প্রায় ১৬ শতাংশ ডিউটি দিয়ে আমাদের পণ্য রপ্তানি করতে হয় এ বিষয়ে কোনো কথা হয়েছে কি না জানতে চাইলে বাণিজ্য সচিব বলেন, আমরা এ বিষয়ে কথা বলেছি, জিএসপি সুবিধা যদি থাকতো তাহলে তো এটা দিতে হতো না। সেজন্য আমরা জিএসপি সুবিধা পেতে চাই। তিনি বলেন, জিএসপি ছাড়াও বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি পণ্য রপ্তানি হয় আমেরিকার বাজারে। আমরা ডিউটি ফ্রি, কোটা ফ্রি যে সুবিধাটা ইউরোপীয় ইউনিয়নে পাচ্ছি সেটা আমরা সব জায়গায় চাচ্ছি।
এফএস