পটুয়াখালীর গলাচিপায় রামনাবাদ নদীতে জেলেদের জালে প্রায় ৫০ কেজি ওজনের দেড় থেকে ২ শত বছর বয়সী জীবিত সামুদ্রিক কাছিম ধরা পড়েছে জেলে মো. সাইফুল ইসলামের (৩২) জালে।
রোববার (২৪ নভেম্বর) গলাচিপা সদর ইউনিয়নের পক্ষিয়া এলাকার সংরক্ষিত বন সংলগ্ন রামনাবাদ নদীতে জেলেরা মাছ ধরার সময় মাছ ধরার জালে উঠে আসে বিশাল আকৃতির কাছিম। পরে খবরটি ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের সহায়তায় বিকাল ৪টার দিকে আগুন মুখা নদীতে কাছিমটি অবমুক্ত করা হয়।
গলাচিপা সদর ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল হাওলাদের পুত্র জেলে মো. সাইফুল ইসলাম জানান, ইলিশ মাছ ধরার জন্য আগুন মুখা নদীতে শনিবার রাত সাড়ে তিনটায় ইলিশের জাল ফেলেন। ভোরে সেই জাল তিন জেলে তোলার সময় প্রায় ৫০কেজি ওজনের একটি কছিম তার জালে ধরা পড়ে। কাছিমটি জাল থেকে তোলার সময় জাল ছিড়ে ফেলে। পরে লোন্দা স্লুইজ গেইটে আনা হলে দেখার জন্য শত লোক ভীর করে।
খবর পেয়ে প্রাণী কল্যাণ ও পরিবেশবাদী সংগঠন এ্যানিমল লাভার্স অব পটুয়াখালী সংগঠনের গলাচিপা উপজেলার টিম লিডার মো. সোহেল হোসেন রাসেল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। জেলে মো. ফারুক মিয়া ও ওয়াসিম মৃধা জানান, এ ধরনের কাছিম আর কোনোদিন জেলেদের জালে ধরা পড়েনি। এটা দামের দিক দিয়ে লক্ষাধিক টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে স্থানীয়দের ধারণা।
পক্ষিয়া বন বিভাগের বিট অফিসার মো. জামাল হোসেন জানান, আমার ২৪বছরের চাকুরি জীবনে এত বড় সামুদ্রিক কাছিম দেখিনি। তবে এটা জলপাই রাঙ্গা কাছিম বাংলাদেশে পান্না কাছিম নামে পরিচিত। তবে এই জলপাই রাঙ্গা কাছিম বা পান্না কাছিমটির বয়স ১৫০ থেকে ২০০ বছর হবে। এর ওজন প্রায় ৫০ কেজি।’
গলাচিপা বন বিভাগের রেঞ্চ কর্মকতা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, পানপট্টি এলাকা সংলগ্ন আগুন মুখা নদীতে ট্রলার যোগে আগুনমুখা নদীর মোহনায় রবিবার বিকাল ৫টায় কাছিমটি অবমুক্ত করা হয়।
এমআর