মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বয়রাগাদী ইউনিয়নের বাহেরঘাটা গ্রামের প্রধান রাস্তাটি ২ স্থানে ভারী বৃষ্টিতে ধসে গেছে। এতে ইউনিয়নটির হাজারো বাসিন্দাদের চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ফলে দ্রুত রাস্তাটি মেরামত করা না হলে যে কোনো সময় আরো ভেঙে যোগাযোগ ব্যাবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পাড়ে। তাই দ্রুত মেরামতের দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসী।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ দিকে উপজেলার বাহেরঘাটা গ্রামের বাসিন্দা মুরাদ হোসেন রেন্টুর বাড়ির সামনে এবং বাহেরঘাটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার সেতুর পশ্চিম পাশের প্রধান রাস্তার একাংশের মাটি ধসে পাশের খালে গিয়ে পড়েছে। সেখানে তৈরি হয়েছে বড় আকারের ভাঙন। এতে চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে এবং রাস্তাটি সরু হয়ে গেছে। এতে ২টি অটোরিকশা একসাথে চলাচল করতে পারে না। একটি অটোরিকশা থামিয়ে যাত্রী নামিয়ে তারপর যেতে হয়। ফলে দুর্ভোগ নিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে অটোরিকশা চালক ও যাত্রীদের। এখনই মেরামত না করলে যে কোন সময় অটোরিকশা খালে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, তাই দ্রুত মেরামত করার দাবি জানিয়েছেন চালক ও যাত্রীরা।
জানা যায়, বয়রাগাদী ইউনিয়নটি বেশিরভাগ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। এ রাস্তা ব্যবহার করেই গ্রামের কৃষিপণ্য আশপাশের হাট-বাজারে নেওয়া হয়। এছাড়া চলতি আলু রোপণ মৌসুমে এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি ব্যবহার করতে না পাড়ায় কৃষক হতাশ।
আরো জানা যায়, গত কয়েক মাস আগে বর্ষা মৌসুমে প্রবল বৃষ্টিতে সড়কের একাংশ ধসে যায়। এতে ইউনিয়নের ছোট পাউলদিয়া,বাহেরঘাটাসহ আশপাশের বিভিন্ন গ্রামের মানুষের চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
বাহেরঘাটা গ্রামের বাসিন্দা সজিব মাহমুদ বলেন, কয়েক মাস আগে টানা বৃষ্টিতে রাস্তাটির বিভিন্ন অংশে ভেঙে মাটি খালে পড়ে গেছে। কিন্তু এখনো সংস্কার কাজ হয়নি। এতে আমাদের দুর্ভোগ নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে এবং যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আমরা চাই দ্রুত রাস্তাটি সরকার মেরামত করে দিবে এটাই আমাদের দাবি।
অটোচালক জামাল হোসেন বলেন, বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটি ভেঙে গেছে, এখন পর্যন্ত রাস্তাটি মেরামত করেনি। অটোরিকশা নিয়ে চলাচল করা যায় না এবং যেকোনো সময় অটোরিকশা উল্টে খালে পড়ে যেতে পারে। এতে করে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই আমরা চাই দ্রুত রাস্তাটি মেরামতের।
বয়রাগাদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম হাবিবুর রহমান সোহাগ বলেন, বর্ষা মৌসুমে টানা বৃষ্টিতে রাস্তাটির বিভিন্ন অংশে ভেঙে মাটি খালে পড়ে গেছে। এতে করে অটোরিকশা, রিকশা চলাচল করতে পারছে না। মানুষজনের চলাচলে অনেক দুর্ভোগ হচ্ছে। আমি পিআইও ম্যাডামকে বলেছি। পিআইও অফিস থেকে লোকজন এসে সরেজমিনে দেখেও গেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত মেরামতের কোন উদ্যোগ নেয়নি। আমি চাই দ্রুত রাস্তাটি মেরামত করে দিবে, তা না হলে জনগণ ও কৃষকদের দুর্ভোগ আরো বাড়বে।
উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো.রেজাউল ইসলাম বলেন, যেহেতু টানা বৃষ্টিতে রাস্তাটি ভেঙে গেছে। আমরা দ্রুত আলাপ-আলোচনা করে রাস্তাটি মেরামত করার উদ্যোগ গ্রহণ করব।
এমআর