প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের বিরুদ্ধে ঢাকার কর্মসূচিতে পুলিশের লাঠিচার্জ-রাবার বুলেট নিক্ষেপ এবং কর্মসূচি পালনকারীদের হেনস্তা করার প্রতিবাদে বরিশালে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে প্রথম আলোর বরিশাল ব্যুরো অফিস সংলগ্ন নগরের বাংলাবাজার এলাকায় বায়তুল মামুন জামে মসজিদের সামনে এ কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা।
কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী আব্দুর রহমান ফাহিম বলেন, গতকাল ঢাকার কাওরান বাজারে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ছিল। সেখানে শুধু শুধু পুলিশ বাহিনী লাঠিচার্জ করেছে, রাবার বুলেট ছুড়েছে এবং উপস্থিতিদের হেনস্তা করার পাশাপাশি আটক করেছে। আর এর প্রতিবাদে বরিশালে আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছি। প্রথম আলোকে প্রথম কালো এবং ডেইলি স্টারকে দিল্লি স্টার হিসেবে আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, তাদের দেশ বিরোধী অবস্থান এবং ভারতের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের অবস্থানের প্রতিবাদও আমরা জানাচ্ছি।
মাদ্রাসার শিক্ষক মুফতি শরীফুল ইসলাম বলেন, আমরা স্বাধীন রাষ্ট্রে বসবাস করছি, তাই আমাদের সবার বাক-স্বাধীনতা রয়েছে। সবাই তাদের দাবি আদায়ে মাঠে নেমেছে আমরাও নেমেছি। যৌক্তিক দাবির ওপর কেন্দ্র করে আমাদের ভাইদের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়েছে। এর তীব্র নিন্দা জানাতে এখানে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির আয়োজন করেছি। এর পাশাপাশি প্রথম আলো ও দিল্লি স্টারসহ যেগুলো ভারতীয় অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের কাজ করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা জোড়ালোভাবে তুলে ধরছি।
তিনি বলেন, এ দুটি পত্রিকা দেশের মধ্যে অশান্তি কর বিশৃঙ্খল পরিবেশ পরিস্থিতি তৈরি করছে। বিশেষ করে অতীত থেকে দেখেছি আমাদের সাধারণ মানুষের মাঝে দাড়িওয়ালা-টুপিওয়ালা দেখলেই তাদের জঙ্গি বানিয়ে দিচ্ছে। সত্য ঘটনা মিথ্যা বানিয়ে দিচ্ছে। হেফাজতের সমাবেশে কি পরিমাণে নির্যাতন করা হয়েছে তা সবাই দেখেছে,কিন্তু পরের দিন তারা পত্রিকায় দিয়েছে হেফাজতিদের তা-বে পুরো ঢাকার গাছ কেটে দেয়াড় কথা। কি নিউজ করতে হবে সেটা না করে তারা দেশ বিরোধী, ইসলাম বিরোধী অপশক্তির অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নে দেশের মধ্যে একটা ফেতনা ছড়াচ্ছে। আমরা আশঙ্কা করছি এরকম ফেতনা ছড়াতে থাকলে দেশে মারাত্মক একটি ঘোলাটে পরিবেশ তৈরি হবে। এজন্য আমরা এখন থেকেই এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
প্রথম আলোকে আমরা প্রথম কালো নাম দিতে চাই কারণ এখন এটি দিল্লির কালো। এ ধরনের পত্রিকা আমরা আমাদের দেশে চাই না। কর্মসূচিতে বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষার্থীর পাশাপাশি শিক্ষকরা উপস্থিত ছিল। সেইসাথে এ কর্মসূচিকে ঘিরে কর্মসূচি স্থল প্রথম আলোর বরিশাল অফিস সংলগ্ন এলাকায় পুলিশের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।
এমআর