ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সঙ্ঘবদ্ধ ডাকাতরা গৃহবধূর হাত-পাঁ বেঁধে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন লুট করে নিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাত সাড়ে বারোটার দিকে শহরতলির বৈঠাপাড়া এলাকায় এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ উজলা খাতুন বলেন, রাতে ১০-১৫ জনের ডাকাতদলের সদস্যরা তাঁদের বাড়িতে হানা দেয়। এ সময় তারা ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে। ভয়ে তাঁর স্বামী বসতঘরের খাটের নিচে লুকিয়ে ছিলেন। পরে ডাকাতরা দড়ি দিয়ে তাঁর হাত-পাঁ ও মুখ বেঁধে ঘরের মেঝেতে ফেলে রাখে। এ সময় ঘরের একটি টেবিলে রাখা ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা, প্রায় ১ ভোরি ওজনের দুটি হাতের বালা ও একটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়।
ওই গৃহবধূর স্বামী আলী হোসেন জানান, তাঁর ছেলে মালয়েশিয়া প্রবাসী। গ্রামে একটি জমি বন্ধক নেওয়ার জন্য ক্ষেতের পান বিক্রি করে এবং এক প্রতিবেশির কাছ থেকে ধার করে টাকাগুলো ঘরে নিয়ে রেখেছিলেন। ছেলেও বিদেশ থেকে কিছু টাকা পাঠিয়েছিল। সবমিলিয়ে ঘরে ২ লাখ টাকা ছিল।
তিনি আরও জানান, প্রথমে ডাকাতরা তাঁদের দরজা খুলতে বললে তাঁরা খোলেননি। পরে যখন দরজা ভাঙতে থাকে তখন তিনি খাটের নিচে লুকিয়ে পড়েন। পরে ডাকাতদলের সদস্যরা তাঁর স্ত্রীর হাত-পাঁ ও মুখ বেঁধে ফেলে রেখে সবকিছু নিয়ে যায়। ঘরের মধ্যে ৪-৫ জন ডাকাত ঢুকেছিল এবং বাইরে আরও ৮-১০জন ছিল বলেও তিনি জানান। এ বিষয়ে মঙ্গলবার থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ একটি জিডি নিয়েছে বলেও তিনি জানান।
এ বিষয়ে হরিণাকুণ্ডু থানার ওসি এম এ রউফ খান বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। তবে ভুক্তভোগী ওই পরিবারের কেউ থানায় অভিযোগ বা মামলা দিতে আসেনি। তবুও আমি সেখানে পুলিশ,পাঠিয়েছিলাম। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমআর