বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় গৃহবধূ উম্মে সালমাকে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার ছেলে সাদকে জামিন দিয়েছেন আদালত। বুধবার জেলা ও দায়রা জজ শাহজাহান কবিরের আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। সাদ দুপচাঁচিয়া উপজেলার জয়পুরপাড়া এলাকার মাদ্রাসা শিক্ষক আজিজুর রহমানের ছেলে।
গত ১০ নভেম্বর উম্মে সালমাকে খুন করে লাশ বাড়ির ডিপ ফ্রিজে রাখে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ১২ নভেম্বর অভিযুক্ত সন্দেহে সাদকে গ্রেফতার করে র্যাব। তাকে তিনদিনের রিমান্ডেও নেওয়া হয়।
রিমান্ড শেষে ১৬ নভেম্বর দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ সাদকে বগুড়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেয়। পরে শুনানি শেষে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এদিকে উম্মে সালমা হত্যার ঘটনা নতুন মোড় নেয়। পুলিশ তদন্ত করে জানতে পারে ছেলে নয়, বাসার ভাড়াটিয়ার হাতে খুন হন উম্মে সালমা। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ভাড়াটিয়া মাবিয়া আক্তার ও তার দুই সহযোগীকে গ্রেফতারের পর রহস্য উন্মোচন করে পুলিশ।
সালমার ব্যবহৃত মুঠোফোন ও বাড়ির ইন্টারনেট রাউটার মামলার আলামত হিসেবে খুঁজতে গিয়ে খোলে হত্যার রহস্যজট। পুলিশ জানতে পারে, বাসার ভাড়াটিয়া মাবিয়া আক্তারের অনৈতিক কাজে বাধা দেওয়ায় হত্যার শিকার হন সালমা।
অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় মাবিয়ার দুই সহযোগী মোসলেম ও সুমন চন্দ্র দাসকে। আসামিদের কাছ থেকে আলামত হিসেবে উদ্ধার করা হয় মুঠোফোন, রাউটার ও বাড়ির চাবি। পরে তারা আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়।
এদিকে মাকে হত্যার অভিযোগে জেল হাজতে আটক থাকে ছেলে সাদ। আজ বুধবার সাদের জামিন আবেদন করা হলে জেলা ও দায়রা জজ শাহজাহান কবিরের আদালত সাদের জামির মঞ্জুর করেন।
সাদের আইনজীবী উৎপল কুমার বাগচী সাদের জামিনের বিষয় নিশ্চিত করে বলেন, ১৪ দিন হাজত বাসের পর সাদের জামিন দিয়েছেন জেলা জজ। সাদকে হত্যা মামলা থেকেও রেহাই দেওয়া হবে।
এসএফ