এইমাত্র
  • ছাত্র জনতাকে অভিবাদন জানিয়ে যে বার্তা দিলেন মাহফুজ
  • শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে ভূষিত হলেন মো. ফাহাদ
  • জিয়াউর রহমান নিয়ে মন্তব্য: বিচারপতিকে ডিম ছুঁড়লেন আইনজীবীরা
  • ভারতের উচিত তার দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা: তথ্য উপদেষ্টা
  • নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মা সাপ্লাই চেইন ও মার্কেটিং বিষয়ক সেমিনার
  • প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি
  • দেশের সার্বিক পরিস্থিতিতে ক্ষোভ ঝাড়লেন মির্জা ফখরুল
  • আইনজীবী সাইফুল খুনের ঘটনায় যা বললেন ফারুকী
  • ৪৬ তম বিসিএস প্রিলির পুনরায় ফল প্রকাশ
  • চুয়াডাঙ্গায় চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের মানববন্ধন
  • আজ বুধবার, ১৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৭ নভেম্বর, ২০২৪
    ধর্ম ও জীবন

    শিশুর জন্মের ৪০ দিন পর ঘর পবিত্র করা কি জরুরি

    ধর্ম ও জীবন ডেস্ক প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৩ পিএম
    ধর্ম ও জীবন ডেস্ক প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৩ পিএম

    শিশুর জন্মের ৪০ দিন পর ঘর পবিত্র করা কি জরুরি

    ধর্ম ও জীবন ডেস্ক প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৩ পিএম

    আমাদের দেশের অনেক অঞ্চলে আঁতুড়ঘর অর্থাৎ শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার স্থান বা ঘরকে অপবিত্র মনে করা হয়। মনে করা হয়, শিশু যে স্থানে বা ঘরে ভূমিষ্ঠ হয়, ওই ঘর ৪০ দিন পর্যন্ত অপবিত্র থাকে। তাই এ সময় সেখানে নামাজ পড়া, কোরআন তিলাওয়াত করা নিষিদ্ধ। ৪০ দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পর ওই ঘর ভালোভাবে ধুয়ে মুছে পবিত্র করার পর সেখানে নামাজ আদায় করা ও তিলাওয়াত করা যাবে।

    এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ভুল ধারণা। আঁতুড়ঘর অপবিত্র নয়। আঁতুড়ঘরে কোরআন তিলাওয়াত ও নামাজ পড়তে বাঁধা নেই। আঁতুড়ঘরের কোনো জায়গায় যদি নাপাকি লাগে, তাহলে শুধু ওই জায়গাই নাপাক গণ্য হবে। পুরো ঘর নাপাক হবে না। ওই নাপাক জায়গা নিয়ম অনুযায়ী ধুয়ে ফেললে তাও পবিত্র হয়ে যাবে।

    শিশুর জন্মের ৪০ দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পর আঁতুড়ঘর বিশেষভাবে পবিত্র বা পরিচ্ছন্ন করার কোনো প্রয়োজন নেই। ঘর অপবিত্র বা অপরিচ্ছন্ন হলে তা পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন করতে হয়। এটা নিয়মিত কাজ। চল্লিশ দিন পর বিশেষভাবে পরিচ্ছন্ন করার বিষয়টি কুসংস্কার যার সাথে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই।

    কোথাও কোথাও এ রকম ধারণাও রয়েছে যে, ৪০ দিন পর্যন্ত নবজাতক শিশুর মা অপবিত্র থাকে, তার স্পর্শ লাগলেই সবকিছু নাপাক হয়ে যায়, তার রান্না খাওয়া যাবে না ইত্যাদি। এগুলোও সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ভুল ধারণা।

    সন্তান জন্মদানের পর যতো দিন তার নেফাস চালু থাকবে, তত দিন ওই নারী মাসিক চলাকালীন সময়ের মতো নামাজ, রোজা ও তিলাওয়াত থেকে বিরত থাকবে, কিন্তু তার ব্যবহৃত থালাবাসন, পেয়ালা কিংবা তার হাতের স্পর্শ লাগা কোনো কিছুই নাপাক হয় না। স্বাভাবিক অবস্থার মতোই তার হাতের রান্না-বান্না খাওয়াও বৈধ। তার ব্যবহৃত বাসনকোসন অন্যরাও ব্যবহার করতে পারবে।

    সন্তান জন্মদানের পর নারীদের যে রক্তস্রাব হয়, শরিয়তের পরিভাষায় তাকে নেফাস বলা হয়। সাধারণ ডেলিভারি পরবর্তী রক্তস্রাব যেমন নেফাস, সিজার পরবর্তী রক্তস্রাবও নেফাস গণ্য হয়। নেফাস চলাকালীন সময়ে যৌনমিলন, নামাজ, তাওয়াফ, রোজা, কোরআন তিলাওয়াত, কোরআন স্পর্শ করা নিষিদ্ধ। এ সময় জিকির করা যাবে, কোরআনে উল্লিখিত দোয়াসহ যে কোনো দোয়া পড়া যাবে। এ সময়ের নামাজের কাজা করতে হবে না, তবে রমজান মাস হলে রোজার কাজা করতে হবে।

    নেফাস সর্বোচ্চ ৪০ দিন থাকতে পারে। এর সর্বনিম্ন সময়ের কোনো সীমা নেই; এক ঘণ্টা বা এক দিন পর নেফাস বন্ধ হয়ে যেতে পারে আবার বিশ দিন বা ত্রিশ দিন পরও বন্ধ হতে পারে। নেফাসের রক্তস্রাব বন্ধ হয়ে গেলে গোসল করে পবিত্র হতে হবে। তারপর যৌন-মিলন, নামাজ ও অন্যান্য আমল করতে পারবে। অর্থাৎ নেফাসের কারণে যে কাজগুলো নিষিদ্ধ হয়েছিল, সেগুলো নিষিদ্ধ থাকবে না। যৌনমিলনের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি থাকলে, চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে বিধিনিষেধ থাকলে তা মেনে চলতে হবে।

    অনেকে মনে করে রক্তস্রাব থাকুক বা না থাকুক সন্তান জন্মদানের পর চল্লিশ দিন পর্যন্ত নামাজ পড়া যায় না। এ ধারণাটি সঠিক নয়। কারো রক্তস্রাব বন্ধ না হলে তার জন্য সর্বোচ্চ মেয়াদ হলো চল্লিশ দিন, এর আগে যে দিন বা যে সময় থেকে রক্তস্রাব বন্ধ হবে, সেদিন সে সময় থেকেই থেকে নামাজ পড়া শুরু করতে হবে।

    সন্তান জন্ম নেওয়ার ৪০ দিন পরও যদি রক্তস্রাব বন্ধ না হয়, তাহলে তা আর নেফাস নয়, বরং ইস্তেহাজা বা রোগ মনে করতে হবে। ৪০ দিন অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পর গোসল করে পবিত্র হয়ে যাবে এবং যৌনমিলন, নামাজ ও অন্যান্য আমল করতে পারবে। রক্তস্রাব চলতে থাকলে প্রতি ওয়াক্তে পরিচ্ছন্ন হয়ে, নতুন অজু করে নামাজ পড়বে, রোজাও রাখবে।

    এবি

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…