মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে শাহিদা আক্তার (২২) নামের তরুণীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় রিভলবারসহ প্রেমিক তৌহিদ শেখ তন্ময়কে (২৩) গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। তন্ময় ঢাকার ওয়ারির ২২ নং বর্ণগ্রাম রোডের মৃত শফিক শাহ ও ময়না বেগমের ছেলে।
এর আগে গতকাল শনিবার দুপুর ১২টার দিকে মহাসড়কের সমসপুর এলাকার দোগাছি সার্ভিস সড়ক থেকে ওই তরুণীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধারের সময় লাশের পাশে কয়েকটি গুলির খোসা পড়ে ছিল। নিহতের শরীরে আটটি গুলির ছিদ্র রয়েছে।
এ বিষয়ে খুন হওয়া তরুণী শাহিদা আক্তারের মা জরিনা বেগম বলেন, ‘ঢাকার ওয়ারী এলাকার তৌহিদ নামের এক ছেলের সঙ্গে তাঁর মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তৌহিদ ছেলে হিসেবে ভালো ছিল না। এ জন্য শহিদাকে তৌহিদের সঙ্গে চলাফেরা করতে নিষেধ করেছিলাম। এ ছাড়া প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে আমার মেয়েকে ওই ছেলে রাস্তার মধ্যে মারধর করেছে। এরপরও তৌহিদ আমার মেয়ের সঙ্গে প্রেমের অভিনয় করছিল।’
জরিনা বেগম জানান, গত শুক্রবার রাত আটটার পর তাঁর মেয়ে ঢাকার বাড়ি থেকে বের হন। এর পর থেকে মুঠোফোন বন্ধ ছিল।
এদিকে রোববার (১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে ভোলার ইলশা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে সোমবার (২ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগগঞ্জের একটি পুকুরে তল্লাশি চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রিভলভার উদ্ধার করা হয়।
সদরঘাট থেকে লঞ্চে করে ভোলা মনপুরা দ্বীপে পালিয়ে যাচ্ছিল তন্ময়। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা গোয়েন্দা শাখা তথা ডিবির ওসি মো. ইশতিয়াক রাসেল। তিনি জানান, গ্রেপ্তার তৌহিদকে নিয়ে তরুণীর লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা করছে ডিবি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তরুণীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে তৌহিদ। তার বাসা রাজধানীর ওয়ারী এলাকায়।
গত শনিবার সকালে জেলার শ্রীনগর উপজেলার দোগাছি এলাকার এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস লেন থেকে শাহিদার গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিন দিবাগত মধ্যরাতে নিহতের মা জরিনা খাতুন বাদী হয়ে শ্রীনগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নিহত তরুণী শাহিদা ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানার বেগুনবাড়ি বরিবয়ান গ্রামের প্রয়াত আব্দুল মোতালেবের মেয়ে। পরিবারের সঙ্গে থাকতেন রাজধানীর ওয়ারী এলাকায়। তারা ৩ বোন ও দুই ভাই।
এবি