বরগুনার আমতলী উপজেলা শহরে নেশাগ্রস্ত স্বামী কর্তৃক স্ত্রীর জোড় করে চুল কাটা ও নির্যাতন করে হত্যার পর স্ত্রীর মরদেহ হাসপাতালে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় । পরবর্তীতে স্বামী ও গলায় ফাঁস দেয়ার চেষ্টা করলে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। মেয়ের বাবার অভিযোগ তার মেয়েকে নির্যাতন শেষে হত্যা করে হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায় স্বামী ইমন ও তার পরিবার।

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে ঘটনাটি আমতলী পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের পল্লী বিদ্যুৎ সংলগ্ন এলাকায় ঘটছে। মৃত এই স্ত্রীর নাম জুবেয়ারা জান্নাতি (১৭)। তার বাবার নাম সুমন রশিদী। অপরদিকে আত্মহত্যা করতে গিয়ে বেঁচে যাওয়া যুবকের নাম ইমন সরদার (১৮)। তার বাবার নাম আল আমিন সরদার। গত এক বছর পূর্বে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ইমন জুবেয়ারা জান্নাতিকে বিয়ে করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায় , স্বামী ইমনের সঙ্গে স্ত্রী জুবেয়ারার টিকটিক করা নিয়ে উভয়ে পারিবারিক কলহ সৃষ্ট হয়। স্ত্রী জুবেয়ারা টিকটিক করার কারণ মাথার চুলের শোভাবর্ধন করা নিয়ে আজ দুপুরের পরে তাদের মধ্যে কলহ বাধে। এক পর্যায়ে স্বামী ইমন তার মাথার চুল কেটে দেয় এবং ঘরে বসে নির্যাতন চালায়। এরপর বিকেলে জুবেয়ারা মৃতদেহ আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় স্বামী ইমন সরদার। স্ত্রী জুবেয়ারা জান্নাতির মরদেহ স্বামী ইমন আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেখে পালিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পর দৌড়ে এসে ঘরের দরজা লাগিয়ে সেও গলায় ফাঁস দেয়ার চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে তাকে বরিশালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আরিফুর রহমান জানান, বিকেলে এক নারী এবং তার স্বামী আত্মহত্যার চেষ্টা করার ঘটনা জানতে পাই। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত ও পরবর্তী কার্যক্রম চলমান রয়েছে। লাশ সুরতহাল শেষে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হবে।

এফএস