গ্রহাণু অনুসন্ধানে বিপ্লব ঘটাবে বিড়াল। শুনতে অবাক লাগলেও আসলে বিড়াল থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এমনই এক রোবট বানিয়েছেন চীনা বিজ্ঞানীরা। তাদের দাবি বিড়াল রোবটটি কম মাধ্যাকর্ষণ রয়েছে এমন পরিবেশেও আটকে থাকবে। বিড়ালের মতো দেহের ভঙ্গিমা পরিবর্তন করে এটি। চার পাওয়ালা এ রোবটটির জন্য এক বিশেষ ধরনের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা তৈরি করেছেন চীনের ‘হারবিন ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির গবেষকরা।
বিড়ালদের পা মোচড়ানো ও সফলভাবে থাবা দেওয়ার সক্ষমতা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এ রোবটটি বানিয়েছেন তারা। গবেষণাটি গত মাসে প্রকাশ পেয়েছে বিজ্ঞানভিত্তিক জার্নাল ‘জার্নাল অফ অ্যাস্ট্রোনটিক্স’-এ। প্রকাশিত নিবন্ধ বলছে, সমন্বিতভাবে নিজের চারটি পা নাড়াতে ও পড়ন্ত অবস্থায় নিজের ভঙ্গিমাও সামঞ্জস্য করতে পারে এটি।
২০১৮ সালে পৃথিবী থেকে প্রায় ২৮ কোটি কিলোমিটার দূরে পাথুরে গ্রহাণু ‘রিয়ুগু’তে কাঁচের বয়াম আকারের দুটি জাম্পিং রোভার পাঠিয়ে ইতিহাস তৈরি করেছিল জাপান। এ মিশনে সাফল্যের পর গ্রহাণু ও চাঁদ অনুসন্ধানের জন্য নতুন ধরনের রোবট তৈরি করছে বিভিন্ন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।
চলতি বছরের শুরুর দিকে গ্রহাণু ও চাঁদের মতো কম মাধ্যাকর্ষণ রয়েছে এমন পরিবেশে চলাচলের জন্য ‘স্পেসহপার’ নামের এক তিন পাওয়ালা লাফ দেওয়া রোবট উন্মোচন করেছেন সুইজারল্যান্ডের পাবলিক রিসার্চ ইউনিভার্সিটি ‘ইটিএইচ দজুরিখ’-এর গবেষকরা।
এসএফ